আন্তর্জাতিক শেয়ারবাজারে ধস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়তে চলতি সপ্তাহে সুদের হার বাড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর ক্রমবর্ধমান মন্দার আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারে ধস নেমেছে। সেই সঙ্গে ডলারের বিপরীতে অন্যান্য মুদ্রা বিপর্যস্ত হয়েছে এবং জ্বালানি তেলের দাম কমেছে।
আপাতত নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির তেজ কমার কোনো সুস্পস্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। এতে মুদ্রা নীতি-নির্ধারকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তারা সতর্ক করেছেন, অর্থনীতিতে স্বল্প-মেয়াদী আঘাত দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের চেয়ে কম বেদনাদায়ক।
গত বুধবার মন্দার সতর্কতার পদক্ষেপ হিসেবে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার বৃদ্ধি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ফেড)। সামনে এ হার আরো বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে তারা। ২০২৪ সালে তা কমে আসতে পারে।
ব্রিটেন, সুইডেন, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়াসহ অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডের অনুরূপ পদক্ষেপ নিয়েছে। তাতে বিশ্ব শেয়ারবাজারে সব সূচকই নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ওয়াল স্ট্রিটের লোকসান বেড়েছে। ২০২০ সালের নভেম্বরের পর ডাও (স্টক মার্কেট) সর্বনিম্ন মূল্য সূচকে নেমে এসেছে। ইউরোপীয় স্টক মার্কেটে মূলধন হ্রাস পেয়েছে। এশিয়ার শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে।
ট্রেডিং প্লাটফর্ম ওএএনডিএ’র বিশ্লেষক ক্রেগ এরলাম বলেন, এশিয়ায় বাজারে সপ্তাহের নেতিবাচক সমাপ্তি ঘটেছে। ইউরোপে আরও বেশি নেতিবাচক প্রভাব মন্দার সম্ভাবনাকে দ্রুত অনুসরণ করেছে।
বাজেটে কর বৃদ্ধি জনসাধারণের মধ্যে আর্থিক উদ্বেগ ছড়িয়েছে। মন্দার আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে। এতে ব্রিটিশ পাউন্ডের মান ৩৭ বছরের সর্বনিম্নে নেমে এসে ১ দশমিক ১০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
সিএমসি মার্কেটস ইউকে-এর প্রধান বাজার বিশ্লেষক মাইকেল হিউসন বলেন, ইকুইটি বাজারে এ উদ্বেগ যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি আরও চড়া হওয়ার দিকে ঠেলে দিতে পারে। একে কমিয়ে আনা অধিক কঠিন করে তুলতে পারে।
ইউরোজোনে, মন্দার আশঙ্কা গভীর হয়েছে। কারণ, তথ্যে দেখা যায়, সেপ্টেম্বরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম আবার কমেছে।