আজ: শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

চোখের জলে অকুতোভয় বীরকে বিদায় দিলো ফায়ার সার্ভিস

শেয়ারবাজার ডেস্ক : ফায়ার ফাইটার সোয়ানুর জামান নয়ন (২৪) ছিলেন একজন নির্ভীক ও দক্ষ কর্মী। নির্ভীক ও দক্ষ কর্মীর সুবাদে তাকে সম্প্রতি সিলেট থেকে নিয়ে আসা হয় ঢাকার তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনে। কর্ম দক্ষতার কারণে দুই বছর চাকরি জীবনে স্থান করে নিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ‘স্পেশাল টিমে’।

সর্বশেষ বুধবার দিনগত রাতে দেশের প্রশাসনিক প্রাণ কেন্দ্র সচিবালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে গিয়ে ট্রাকচাপায় নিহত হন নয়ন। তার এই অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তার পরিবার থেকে শুরু করে সহকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) নিহত ফায়ার ফাইটার নয়নের জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তর প্রাঙ্গণে।

চোখের জলে অকুতোভয় বীরকে বিদায় দিলো ফায়ার সার্ভিস

এসময় ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তর প্রাঙ্গণে ছিল শোকের ছায়া। দেশের পতাকায় মোড়ানো ফায়ার ফাইটার নয়নের মরদেহ যখন ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে রাখা হয় তখন নেমে আসে শোকের ছায়া।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের চোখ তখন অশ্রুশিক্ত।

জানাজার আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ফায়ার সার্ভিসে সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে ফায়ার ফাইটার নয়নকে শ্রদ্ধা ও শেষ বিদায় জানান।

এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তরে জানাজায় অংশ নিতে আসা নয়নের চাচাতো ভাই মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই এভাবে চলে গেল যে আর ফিরে আসবে না কখনো। তার সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল আমার, কিন্তু আর শেষ দেখা হলো না। তার এই অকাল মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারছি না।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যখন কাজ করছিল তখন পুলিশ যদি রাস্তা বন্ধ করে দিত তাহলে আমার ভাইকে এভাবে মরতে হতো না। আমরা আশা করবো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবে যাতে করে নয়নের মতো যেন আর কারও মৃত্যু না হয়।

জানাজা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, গতকাল আমাদের ফায়ার ফাইটার নয়ন দুর্ঘটনায় মারা যান। আমরা সবাই তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। নয়নের বয়স খুবই কম ছিল। তিনি মাত্র দুই বছর ধরে ফায়ার সার্ভিসে চাকরি করছিলেন। কর্তব্যরত অবস্থায় তিনি মারা যান, তার মা-বাবার যে কি অবস্থা সেটা আমরা সবাই বুঝতে পারছি।

তিনি বলেন, তিনি খুবই দক্ষ ফায়ার ফাইটার ছিলেন। তাই তাকে স্পেশাল টিমের জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.