আজ: রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১২ জানুয়ারী ২০২৫, রবিবার |

kidarkar

ডিএসইর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন রাখার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আবারও বিতর্কের মুখে পড়েছে। এবার ডিএসই কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা তালিকাভুক্ত কোম্পানি ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপন রেখেছে। অভিযোগের দাবি, এই তথ্য গোপন করার মাধ্যমে কারসাজিকারীদের সহায়তা করেছে ডিএসই।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হয়ে ৩১ অক্টোবর ডিএসইতে জমা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী পরদিনই তথ্যটি ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার কথা থাকলেও, তা ১৮ দিন গোপন রাখা হয় এবং ১৯ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়।

এই সময়ের মধ্যে, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের শেয়ারদর প্রায় ১০ টাকা বৃদ্ধি পায়। ৩১ অক্টোবর শেয়ারটির দর ছিল ২৯ টাকা ৬০ পয়সা, যা ১৯ নভেম্বর প্রতিবেদন প্রকাশের দিন বেড়ে ৩৯ টাকা ২০ পয়সা হয়ে যায়। এই সময়ে শেয়ারটি প্রায় ১২ কার্যদিবসের মধ্যে ৯ টাকা ৬০ পয়সা বাড়ে এবং সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দামে চলে যায়। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, বিশেষত যারা শেয়ারটি উচ্চ দামে কিনেছেন।

এ বিষয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, ডিএসই কর্মকর্তারা শেয়ার কারসাজিতে জড়িত। তারা স্বার্থ হাসিল করার জন্য মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশে বিলম্ব করেন এবং কারসাজিকারীদের সুযোগ করে দেন। এই সময়ে কারসাজি করে শেয়ার কম দামে কেনা এবং পরে বেশি দামে বিক্রি করার মাধ্যমে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জিত হয়, যা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ক্ষতিকর।

বিশ্লেষকদের মতে, স্টক এক্সচেঞ্জের উচিত প্রতিটি মূল্য সংবেদনশীল তথ্য দ্রুত প্রকাশ করা, যাতে বিনিয়োগকারীরা সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের তথ্য ১৮ দিন গোপন রাখার ঘটনায় স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে যে, এর পেছনে কারসাজি থাকতে পারে।

এ বিষয়ে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম জানান, তাদের অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটি এ ধরনের অনিয়মের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিমও বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.