কমান্ড অথরিটির জরুরি বৈঠক ডাকলেন শাহবাজ শরিফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বানিয়ান মারসুস’ শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দেশটির ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির (এনসিএ) জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।

এনসিএ পাকিস্তানের স্থল, আকাশ ও নৌ বাহিনীর জন্য যৌথ কৌশল প্রণয়নে ভূমিকা রাখে। তবে এর আরও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের দেখভাল করা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া। এনসিএ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদন বিষয়কমন্ত্রী। এছাড়া এই কমিটিতে জয়েন্ট চীফ অফ স্টাফ, তিন বাহিনী প্রধান এবং স্ট্রাটেজিক প্লানস ডিভিশন (এসপিডি)-এর পরিচালক সদস্য হিসাবে রয়েছেন। এসপিডি পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থা।

পাকিস্তান দাবি করেছে, শুক্রবার দিবাগত রাতে ভারত তাদের তিনটি বিমান ঘাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। এর জবাবে পাকিস্তান ভারতের পাঠানকোট, উধমপুর, শ্রীনগরসহ বিভিন্ন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ এই দাবি করেছে।

শ্রীনগর থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ভোর পৌনে ছয়টার দিকে সেখানে কয়েকটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। শহরজুড়ে ব্ল্যাকআউট চলছে। এর আগে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই দাবি করেছে যে, শুক্রবার দিবাগত রাতে তাদের ওপর অপর দেশ থেকে হামলা হয়েছে। উত্তরের এবং পশ্চিম ভারতের ৩২টি বিমানবন্দর থেকে বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের করাচির ফায়সাল হাইওয়েতে একাধিক বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে। গুলিস্তাঁ-এ-জওহার এলাকার এক বাসিন্দা জুবেইর আশরাফ বিবিসিকে জানিয়েছেন যে ভোরবেলা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন তিনি এবং আকাশে আলোর ঝলকানিও দেখতে পেয়েছেন। বিস্ফোরণের পর সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, এবং সবাই তাদের বাড়ির আলো নিভিয়ে দেন।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্র ও শনিবারের মাঝ রাতে উত্তরের বারামুল্লা থেকে গুজরাতের ভুজ পর্যন্ত ২৬টি জায়গায় ড্রোন দেখা গিয়েছিল।