আজ: বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ইং, ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার |

kidarkar

জীবাণু থাকায় রপ্তানি করা যাচ্ছে না আলু

দেশে যে আলু উৎপাদন হচ্ছে তাতে ক্ষতিকর জীবাণু রয়েছে। এ কারণে বিদেশে আলু রপ্তানি করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ)-এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন। ‘ফুড অ্যান্ড কেমিক্যাল ল্যাব এক্সপো ২০২২’ উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

আব্দুল কাইউম বলেন, আমাদের দেশে যে আলু হচ্ছে, পরীক্ষা করে দেখা গেছে এর ভিতরে এক ধরনের জীবাণু আছে। যেটা অন্য দেশ গ্রহণ করে না। আমাদের উৎপাদিত আলুর গুণের মধ্যেই সমস্যা আছে। এখন যেসব দেশে আলু উৎপাদন হয়, সে দেশ থেকে বীজ এনে ওই কোয়ালিটির আলু উৎপাদনের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাহলে হয়তো সেই জীবাণুটা থাকবে না। তখন আমাদের দেশ থেকে ওই সব দেশ আলু সহজে নেবে।

‘ল্যাবে তারা পরীক্ষা করে দেখিয়েছে জীবাণু। দেখলাম আসলেই ওটা রপ্তানি করার মতো না। আমাদের দেশে হয় তো আমরা জানি না। বাস্তবে ওরা কিন্তু প্রতিটা জিনিস পরীক্ষা করে নেয়।’

তিনি বলেন, চিংড়ি নিয়ে প্রথম আমাদের অনেক ধরনের সমস্যা ছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরামর্শ মতো সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে আমরা সেই স্ট্যান্ডার্ড এনশিওর করতে পারছি। এখন আমাদের কাছ থেকে যে সার্টিফিকেট যাচ্ছে, সেই সার্টিফিকেটের ভিত্তিতেই তারা গ্রহণ করছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (ফুড কনজাম্পশন অ্যান্ড কনজিউমার রাইটস) মো. রেজাউল করিম বলেন, আমরা অনেকবার চেষ্টা করেছি রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নে আলু পাঠানোর জন্য। আমাদের দেশের যে মাটি, এই মাটিতে কিছু সমস্যা রয়েছে। এ কারণে আমরা রাশিয়াতে পাঠাতে পারছি না।

সাংবাদিকদের আরও এক প্রশ্নের উত্তরে রেজাউল করিম বলেন, একেকটা দেশ, একেকটা জাতের, একেকটা এলাকার কিছু নিজস্ব ক্যারেক্টার আছে। যেটা আমাদের জন্য ক্ষতিকর না, সেটা অন্য এক এলাকার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এটা একদিনে বা এক মুহূর্তে দূর করা মুশকিল। আমাদের আপাতত হচ্ছে না, তবে আমাদের বিদেশি বন্ধুরা এ বিষয়ে অভ্যস্ত না।

একই প্রশ্নের উত্তরে আব্দুল কাইউম বলেন, আসলে আলু আমরা কাঁচা খাচ্ছি না। আলু সিদ্ধ করেই খাচ্ছি। অতএব জীবাণু আর আমাদের দেহে যাচ্ছে না। বিষয়টা হলো আলু যখন আমি রপ্তানি করছি, কাঁচা আলু। বিদেশিরা যখন আমার আলুটা পাচ্ছে, তখন এটা তাদের দেশের জন্য উপযোগী কি না চেক করছে। তখনই আলুতে জীবাণু বের হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আম রপ্তানির প্রতিবন্ধকতা নিয়ে মো. আব্দুল কাইউম বলেন, আমাদের দেশে যে আপেল আসে, তাতে কিন্তু স্টিকার লাগানো থাকে। ওই স্টিকারের বারকোড স্ক্যান করলেই দেখা যায় আপেলটি কোথায়, কোন বাগান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের আম কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তার কোনো তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.