আজ: বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ইং, ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার |

kidarkar

পুঁজিবাজারে সিএমএসএফ‘র ফান্ডে ১১৯৩ কোটি টাকা

শাহ আলম নূর : পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট নিরসনে গত বছরের ২২ আগস্ট ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) গঠন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিভিন্ন কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের রক্ষিত অবণ্টিত বা অদাবিকৃত লভ্যাংশের (নগদ ও বোনাস) সমন্বয়ে এই তহবিল গঠন করা হয়।
বিএসইসি জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এ ফান্ডটির আকার হবে ২০ হাজার কোটি টাকা। পরে এই তহবিলের আকার আরও বাড়ানো হতে পারে বলেও ঘোষণা দেয় পুঁজিবাজারের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। কিন্তু বেশির ভাগ কোম্পানি থেকে সাড়া মেলেনি।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার দেয়া সবশেষ সময়সীমাও গত ৩১ জুলাই শেষ হয়েছে। তবে কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর অবণ্টিত লভ্যাংশ সিএমএসএফে নগদ অর্থ ও শেয়ার জমাদানে কোম্পানিগুলোর কাঙ্খিত সাড়া মেলেনি।
সিএমএসএফের চিফ অপারেশন অফিসার (সিওও) মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, গত এক বছরের সিএমএসএফ ফান্ডের নগদ ও বোনাস লভ্যাংশ বাবদ ১ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা জমা হয়েছে। এর মধ্যে নগদ লভ্যাংশ বাবদ এসেছে ৪৮৩ কোটি টাকা। আর বোনাস লভ্যাংশ বাবদ এসেছে ৭১০ কোটি টাকা।’
সিএমএসএফের ইনভেস্টর ক্লেইম সেটেলমেন্ট, অ্যাকাউন্টস ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাডমিনের প্রধান হিসেবে দায়িত্বে থাকা সাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রথম গত বছরের আগস্টের ২৪ তারিখ থেকে টাকা পাওয়া শুরু করি। ১৫ মার্চ আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করে সেটেলমেন্ট শুরু করি। এরপর থেকে ধাপে ধাপে ৬টি সেটেলমেন্টে আমরা টাকা পেতে থাকি। সর্বশেষ ষষ্ঠ সেটেলমেন্টে আমরা ৭০ লাখ টাকা পেয়েছি।’
তিনি জানান, সবশেষ ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিএমএসএফে নগদ লভ্যাংশ বাবদ এসেছে ৪৮৩ কোটি টাকা ও বোনাস লভ্যাংশ বাবদ এসেছে ৭১০ কোটি টাকা। সে হিসেবে নগদ ও বোনাস লভ্যাংশ বাবদ সর্বমোট ১ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা জমা হয়েছে। এর মধ্যে বোনাস লভ্যাংশ বাবদ ৪ কোটি শেয়ারের বর্তমান বাজারদর ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে ২২৫ কোটি টাকা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) দেয়া হয়েছে।গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ডের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিনিয়োগকারীদের দাবি নিষ্পত্তি এই সিএমএসএফের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। ফান্ডটির কার্যক্রম শুরুর পর থেকে অবণ্টিত বা অদাবিকৃত লভ্যাংশের মধ্যে দাবি করা ৮০ শতাংশ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।এর পরিমাণ প্রায় ১ কোটি টাকা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.