আজ: বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ইং, ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার |

kidarkar

তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সেবা উন্নত করতে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানকে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ দেয়া হবে।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সংস্থাটি দেশীয় বা যেকোনো বিদেশী কোম্পানি হতে পারে, তবে এর মান অবশ্যই আন্তর্জাতিক হতে হবে।

মফিদুর রহমান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান বলতে শুধু বিদেশী কোম্পানিকে বুঝানো হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক মানের দেশীও হতে পারে বা বিদেশীও হতে পারে।’

বেবিচক সূত্রে জানা যায়, মূলত গ্রাউন্ড ও কার্গো হ্যান্ডলিং নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা আর যাত্রী ভোগান্তির কারণে তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড ও কার্গো হ্যান্ডলিং কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানকে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে করা হবে।

যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নতুন তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড এবং কার্গো হ্যান্ডলিং কার্যক্রম একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানের কাছে আউটসোর্স করা হবে।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে অনেক বার যথেষ্ট কঠোরভাবে বলা হয়েছে একটি লাগেজও যাতে নষ্ট না হয়। লাগেজটাকে যেন মানুষের মতো ফিল (অনুভব) করা হয়। কিন্তু তারা শুনছে না। এটা খুবই দুঃখজনক।

তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক মানের সেবা, যেখানে যাত্রীর কোনো অভিযোগ থাকবে না। দ্রুত সেবা দেয়া যাবে। যাতে কোনো যাত্রী ভোগান্তি না হয় এবং সরকারের আয়ও বাড়বে।’

তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ইউএনবিকে বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করার কথা ভাবছি। তখন সমস্ত নিয়ম ও শর্ত পরিপালন করে যারা যোগ্য বিবেচিত হবেন তারাই এই টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ পাবেন। আমাদের লক্ষ্য যাত্রীদের উন্নত সেবা প্রদান করা, তার জন্য করণীয় সকল কাজ করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের কাজের মান নিয়ে কোনো ধরনের আপস করা হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। দরপত্রে উল্লেখিত মানের পণ্যই এই প্রকল্পের কাজে সরবরাহ নেয়া হবে, অন্য কোনো কিছু গ্রহণ করা হবে না। রাষ্ট্রের বা জনগণের এক পয়সা ক্ষতি হয় এরকম কোনোকিছু এখানে প্রশ্রয় দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, ‘যেসব প্রতিষ্ঠান উন্নত দেশে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করছে এমন প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করা হবে। বিমানবন্দরের সেবার মান নিয়ে কারো সাথে কোনো আপস করব না।’

মাহবুব আলী বলেন, ‘বিমানবন্দরে যাত্রীরা যাতে কোনো হয়রানির শিকার না হয় এবং পৃথিবীর বিভিন্ন এয়ারপোর্টে যে সেবা দেয়া হয়, সেই ধরনের আন্তর্জাতিক সেবা যাতে দেয়া হয়, সেটা আমরা নিশ্চিত করবো।’

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.