আজ: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ জুন ২০২৩, শনিবার |

kidarkar

রাজস্বে আদায়ে ৩৪ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে এনবিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। ইতোমধ্যে ১১ মাস (জুলাই-মে) পেরিয়ে গেলেও বড় ধরনের ঘাটতির মুখোমুখি রাজস্ব আদায়ের একমাত্র প্রতিষ্ঠানটি।

অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পিছিয়ে আছে প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা। যদিও গত অর্থবছরের চেয়ে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ৮.৬৫ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯০ ভাগ অর্জিত হলেও বড় ঘাটতি এড়াতে পারেনি এনবিআর।

ওই সময়ে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সরকারের খাতায় রাজস্ব জমা হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৭৭৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

কাকতালীয় হলেও দশ মাস (জুলাই-এপ্রিল) শেষেও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পিছিয়ে ছিল ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ সময় এগিয়ে গেলেও রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পায়নি বলে জানা গেছে।

এনবিআরের পরিসংখ্যানের প্রাথমিক হিসাব বলছে, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চলতি অর্থবছরের বাকি এক মাসে অন্তত ৮৯ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে হবে এনবিআরকে। যা অসম্ভব বলেই সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। গেল ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ২৮ হাজার কোটি রাজস্ব ঘাটতি হয়েছিল। এবার রাজস্ব ঘাটতির সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

সূত্রানুসারে, আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ১৬ হাজার ৭৭৯ কোটি ২২ লাখ টাকা। একই সময়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাটে ঘাটতি হয়েছে ১৩ হাজার ২০৯ কোটি টাকা। আর আয়কর খাতে ঘাটতির পরিমাণ ৩ হাজার ৬৬৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

এনবিআরের প্রাথমিক হিসাবে অনুসারে, আমদানি খাতে মে পর্যন্ত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৬৪ কোটি টাকা। আর রাজস্ব আদায় হয়েছে ৮৩ হাজার ৬৮৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

অন্যদিকে মে পর্যন্ত ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৮৪১ কোটি ২ লাখ টাকা। যার বিপরীতে ভ্যাট আদায় হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা।

এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের ওই সময়ে আয়কর ও ভ্রমণ কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯২ হাজার ৬২৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। যার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৮৮ লাখ ৯৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এ বিষয় এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, সরকার অর্থবছরের শুরু থেকেই আমদানিকে নিরুৎসাহিত করেছে। এলসি খোলার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি এসেছে, সেটেলমেন্টও কমেছে। ফলে আমদানি ঋণাত্মক হয়ে যাওয়ায় শুল্ক আদায়ও কমে গেছে। তবে আমাদের প্রত্যাশা ছিল ভ্যাট ও আয়কর থেকে বেশি রাজস্ব আদায় হবে। সেটা হয়নি। যদিও অর্থবছর শেষে এতো ঘাটতি থাকবে না।

তিনি বলেন, আগামী বছরে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। কারণ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। আরও বড় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে।

চলতি অর্থবছরে (জুলাই-জুন) এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ১১ হাজার কোটি, মূসক আদায়ে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ও আয়কর খাতে ১ লাখ ২২ হাজার ১০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.