ফার্স্ট ফাইন্যান্সে ৫ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ করেছে বিএসইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক : তালিকাভুক্ত ব্যাংক বর্হিভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেডকে ২০১৬ সালের ২মে থেকে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেনের জন্য পাঠানো হয়। নিয়ম অনুসারে, ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু পরবর্তী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে কোম্পানিটিকে পর্ষদ পুনর্গঠনের শর্ত দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কোম্পানিটি এক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘণ করেছে। এছাড়া তাদের বেশ কিছু অনিয়ময় ও আইন লঙ্ঘন বিনিযোগকারীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার পাশাপাশি কোম্পানির প্রতি বিশ্বাস ও আস্থার ঘাটতি তৈরি করেছে। এতে লোকসানে পড়ার পাশাপাশি কোম্পানির খ্যাতি নষ্ট হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কোম্পানিটিতে পাঁচজন স্বতন্ত্র পরিচালাক নিয়োগ দিয়ে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এতে কোম্পানির বিদ্যমান চেয়ারম্যান, পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) এ স্বতন্ত্র পরিচালকদের আগামী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে পর্ষদ পুনর্গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মাধ্যমে গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে এনবিএফআইটি।
বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ফার্স্ট ফাইন্যান্সের সর্বশেষ প্রকাশিত ২০২১ হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে মোট পুঞ্জিভুত লোকসান দেখানো হয়েছে ৩২৫ কোটি টাকা। আর এতে মোট শেয়ারহোল্ডার ইকুইটি দেখানো হয়েছে ঋণাত্মক ১৬৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ইস্যুয়ার কোম্পানিটি গত ১৪ বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশের ঘোষণা দিলেও তাতে কমিশনের শর্ত লঙ্ঘন হয়। কোম্পানির নেয়া ঋণের ৮৬ দশমিক ৬০ শতাংশই খেলাপী হয়ে গেছে। এছাড়া কোম্পানিটি বেশ কিছু অনিয়ময় ও সিকিউরিটি আইন লঙ্ঘন করেছে, যা বিনিযোগকারীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার পাশাপাশি কোম্পানির প্রতি তাদের বিশ্বাস ও আস্থার ঘাটতি তৈরি করেছে। এতে লোকসানে পড়ার পাশাপাশি কোম্পানির খ্যাতি নষ্ট হয়েছে। এদিকে কোম্পানিটিকে ২০১৬ সালের ২মে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠানো সময় লেনদেন শরু পরবর্তী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে পর্ষদ পুনর্গঠনের শর্ত দেয়া হয়। এক্ষেত্রেও কোম্পানিটি সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করেছে। এমন পরিস্থিতিতে কোম্পানিটিতে পাঁচজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে বিএসইসি।
নিয়োগপ্রাপ্ত পাঁচ স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন- মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির (অবসরপ্রাপ্ত), খন্দকার নিজামউদ্দিন, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম রাউলী, অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং ড. কাজী মঈদুদ্দিন মাহমুদ। এ পাঁচ স্বতন্ত্র পরিচালক দায়িত্বগ্রহণ পরবর্তী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ডিএসই ও সিএসইকে ইস্যুয়ার কোম্পানিটির সকল কার্যক্রম পর্যাবেক্ষণ ও কমিশনের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এ নিদের্শনা দ্রুত কার্যকর হবে।