আজ: সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, সোমবার |

kidarkar

শাবান মাসের ফজিলত ও আমল

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নবী কারিম সা. শাবান মাসের গুরুত্ব, মাহাত্ম্য ও তাৎপর্যের বিবেচনায় এ মাসে অধিক হারে নফল ইবাদত-বন্দেগি করতেন। রমজানুল মুবারকের মর্যাদা রক্ষা এবং হক আদায়ের অনুশীলনের জন্য রসুলুল্লাহ সা. শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা পালন করতেন। এ সম্পর্কে হজরত আনাস রা. বলেছেন, নবী করিম সা.-কে জিগ্যেস করা হলো আপনার কাছে মাহে রমজানের পর কোন মাসের রোজা উত্তম? তিনি বললেন, রমজান মাসের সম্মান প্রদর্শনের জন্য শাবানের রোজা উত্তম। (তিরমিজি)

হযরত উসামা রা.0 বলেন, একবার আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ মাসে (শাবান) বেশি বেশি রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করলাম। তিনি উত্তরে বললেন, লোকেরা রজব ও রমজান এ দুই মাসের গুরুত্ব বেশি দেয়। রোজাও রাখে। কিন্তু মধ্যবর্তী এ মাসটিকে উপেক্ষা করে চলে। অথচ এ মাসেই বান্দার আমলসমূহ আল্লাহর দরবারে উপস্থিত করা হয়।

আর আমার কামনা হলো- আমার আমলসমূহ আল্লাহর দরবারে উপস্থাপন করার সময় আমি রোজা অবস্থায় থাকি। এ কারণেই আমি শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখি। (নাসাঈ, আবু দাউদ)

হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ১৫ শাবানের রাত (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে, সে রাতে তোমরা তা ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং পরদিন রোজা রাখ। (ইবনে মাজাহ)

প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, শাবান হচ্ছে আমার মাস, যে কেউ এ মাসে আমাকে সাহায্য করবে আল্লাহ তাআলা তার ওপর বিশেষ রহমত ও বরকত নাজিল করবেন। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সাহায্য করা বলতে তার সুন্নতের ওপর আমল করাকেই বুঝান হয়েছে।

তিনি শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা পালনের পাশাপাশি ইসতেগফার ও দরুদ শরিফ পাঠের কথা উল্লেখ করে বলেন, হিজরি বছরের তিনটি মাস তথা রজব, শাবান ও রমজান; এ তিনটি মাসেই অধিক ইস্তেগফার ও দরুদ শরিফ পাঠের সুপারিশ করা হয়েছে। অবশ্য তন্মধ্যে শাবান মাসের ওপর বেশি তাগিদ দেয়া হয়েছে।

মুহাদ্দিসিনে কেরামদের একটি মতামত দিয়ে শেষ করতে চাই- রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্মানিত স্ত্রীগণের মধ্য থেকে যাদের রমজানের রোজা ছুটে যেতো। সে রোজাগুলো তারা সারা বছর কাজা করার সুযোগ পেতেন না এবং শাবান মাসেই ভাংতি রোজাগুলো কাজা করতেন। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের সঙ্গে রোজা রেখেই মাসটি অতিবাহিত করতেন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.