আজ: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ জুন ২০২৪, বুধবার |

kidarkar

আবার প্রধানমন্ত্রী হতে পদত্যাগ করলেন মোদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বুধবার (৫ মে) রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রপতি তার এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির কাছে নিজের এবং মন্ত্রিসভার পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে নতুন সরকার গঠনের দাবি জানান মোদী।

এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী শনিবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় দিল্লিতে মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন মোদী।

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি বিজেপি। নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর দল। ৪০০ আসনে জয়ের যে লক্ষ্য ছিল তার ধারে কাছেও ঘেষতে পারেনি তারা। এমনকি বিজেপি এককভাবে ৩০০ আসনও পার করতে পারেনি।

৫৪৩ আসনের মধ্যে লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ছিল ২৭২টি আসন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এ সংখ্যা পার করেছে। জোটের মধ্যে সবকিছু ঠিক থাকলে কেন্দ্রে সরকার গড়তে চলেছে এনডিএ এবং ফের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মোদী। ফলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন তিনি।

এনডিএ মোট ২৯২ আসনে জয়ী হয়েছে। এর মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ২৪০টি আসন। অন্যদিকে ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছে প্রধান বিরোধীদল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস। এই দলের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩৫টি আসন। এক দশক আগে ক্ষমতায় আসা মোদীকে এই প্রথমবার সরকার গঠনের জন্য জোটের অংশীদারদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

জোট এনডিএ সরকার গঠন করলে এবং মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে জওহরলাল নেহরুর পর তিনিই হবেন দ্বিতীয় ব্যক্তি, যিনি পর পর তিনবার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে চলেছেন। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর্যালোচনা করতে বুধবারই বৈঠকে বসেন মোদী। বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক শুরু হয়। এটাই ছিল দ্বিতীয় মোদী সরকারের মন্ত্রিপরিষদের শেষ বৈঠক।

সেখানে শনিবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান প্রথমে আগামী রোববার অর্থাৎ ৯ জুন হতে পারে বলে ঠিক হয়। তবে পরে তা বদলে শনিবার করা হয়।

২০১৯ সালের নির্বাচনে মাত্র ৯৪টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট। আর কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছিল ৫২টি আসন। অর্থাৎ এবারের নির্বাচনে বিস্ময়কর উন্নতি হয়েছে ভারতের প্রাচীনতম এই রাজনৈতিক দলটির।

সে বছরের নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে ৩০৩ আসনে জয় পেয়েছিল। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ ৩৫২ আসনে জয় পায়। সে সময় বিজেপির পক্ষে কাজ করেছিল মোদী ম্যাজিক এবং জাতীয়তাবাদী হাওয়া। কিন্তু এবার তার কোনো কিছুই কাজে আসেনি। এবার নির্বাচনে বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন পায়নি। সে কারণে এনডিএ জোট শরিকদের ওপরই নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.