আজ: শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪ইং, ২১শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৮ জুন ২০২৪, শনিবার |

kidarkar

করসুবিধা দিয়ে পুঁজিবাজারের সবকিছু ঠিক করা সম্ভব নয় : আইসিএবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সাবেক সভাপতি মো: হুমায়ূন কবির বলেন, ‘পুঁজিবাজারে করসুবিধা দিয়ে বিনিয়োগকারীদের আত্মহত্যা ঠেকানো যায়নি। ভালো ভালো অনেক কোম্পানি এখনও বাজারে আসেনি। এক করসুবিধা দিয়ে বাজারের সবকিছু ঠিক করা সম্ভব নয়।’

আজ শনিবার (০৮ জুন) আইসিএবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির এই সাবেক সভাপতি এসব কথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা বা মৌলভিত্তির ওপর নির্ভর করে পুঁজিবাজার চাঙা হওয়ার বিষয়। করকাঠামোর জন্য পুঁজিবাজারের এই পরিস্থিতি হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এসময় করপোরেট করের হার হ্রাস ও উৎসে কর কর্তনসহ (টিডিএস) আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কর সংস্কার ব্যবস্থাকে সমর্থন জানান আইসিএবির সভাপতি মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন।

তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার একটি সময়োপযোগী ও ব্যাপক আকারের বাজেট সংসদে পেশ করেছেন। প্রস্তাবিত বাজেট আমাদের জিডিপির ১৪.২ শতাংশ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বৈশ্বিক সংকট, ডলার সংকট, ব্যবসা-বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে মন্দা এবং অন্যান্য বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও সরকার ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ নিয়েছে যা আমাদেরকে একটি উন্নত দেশে পৌছার যাত্রায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

ব্যক্তিশ্রেণির কালোটাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন বলেন, ‘ব্যক্তিশ্রেণির অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত; তাই এ বিষয়ে মন্তব্য নেই। তবে আমরা নৈতিকতার মান বজায় রাখার পক্ষে।’ প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার পক্ষে আইসিএবি।

বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আইসিএবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, সরকারি ব্যাংক তুলনামূলক বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে কম ঋণ পাবে। ফলে বিনিয়োগ কম হবে। এনবিআরকে যে বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে, তা বিঘ্নিত হবে। তাঁর মতে, এই বাজেটে নতুন কর হারের কারণে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের নিচের দিকের এবং ওপরের দিকের করদাতারা চাপে থাকবেন; মধ্যপর্যায়ের করদাতারা কিছুটা সুবিধা পাবেন।

আইসিএবির বাজেট প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়, বিগত বছরগুলোর ন্যায় এই বছরেও আইসিএবি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ২০২৪- ২০২৫ বাজেট সংক্রান্ত রাজস্ব আইনের যেমন- আয়কর আইন ২০২৩ ও আয়কর বিধিমালা ২০২৩, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা ২০১৬, কাস্টমস আইন-সহ অন্যান্য আইন ও বিধির উপর প্রস্তাবণা প্রেরণ করেছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু বাস্তব ভিত্তিক উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আইসিএবি পক্ষ থেকে তিনি সরকারের প্রশংসা করেন। দুই বছরের জন্য প্রযোজ্য করের হার প্রবর্তন; প্রাইভেট কোম্পানি এবং ওয়ান পার্সন কোম্পানির (ওপিসি) জন্য করের হার হ্রাস করা; নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর উৎস কর হ্রাস; স্বাভাবিক ব্যক্তি, প্রাথমিক ও প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা দানে নিয়োজিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ৫ কোটি টাকার নিন্মে গ্রস প্রাপ্তি রয়েছে এরুপ কোন ফার্ম, ট্রাস্ট, ব্যক্তিসঙ্ঘ, ফাউন্ডেশন, সমিতি, এবং সমবায় সমিতি ব্যতীত অন্যান্য সকল করদাতার জন্য নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীর বাধ্যবাধকতার বিধান রাখায় সুপারিশগুলোকে স্বাগত জানায়।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.