আজ: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৯ জুন ২০২৪, রবিবার |

kidarkar

বাজেটের নেতিবাচক প্রভাবে ব্যাপক দরপতন পুঁজিবাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাজেটের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর প্রথম দিনের লেনদেনে ব্যাপক দরপতন ঘটেছে পুঁজিবাজারে। সূচকের পাশাপাশি কমেছে প্রায় সব শেয়ার কোম্পানির দাম। কমেছে লেনদেন। একদিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক কমেছে ৬৫ পয়েন্ট।

বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজার নিয়ে কোনো ইতিবাচক ঘোষণা না থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরণের আতঙ্ক বিরাজ করছে। যার বিরূপ প্রভাব পড়া শুরু হয়েছে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাজেটে প্রণোদনা দেয়ার প্রস্তাব করেছিল বাজার বিশ্লেষকরা।কিন্তু বাজেটে কোনো প্রণোদনাই পেল না পুঁজিবাজার। উল্টো করের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে।অন্যদিকে নতুন কোন প্রস্তাবও করা হয়নি বাজারের উন্নয়নে।

এর আগে সাংবাদিক সম্মেলনে করে পুঁজিবাজার বান্ধব বাজেট করতে স্টক এক্সচেঞ্জে সিকিউরিটিজ লেনদেন হতে মূলধনী মুনাফার (ক্যাপিটাল গেইন) ওপর নতুন করে কর আরোপ না করা, তালিকাভুক্ত কোম্পানির আয় কর কমানো, ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেনের ওপর ধার্য উৎসে কর কমানো, তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করের ব্যবধান ন্যূনতম ২০ শতাংশ করা, লভ্যাংশ আয় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখা ও বন্ড আয় পুরোপুরি করমুক্ত রাখা। এক্ষেত্রে এ করের হার দশমিক শূন্য ২ শতাংশ করাসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব করে ডিএসই। কিন্তু বাজেটে তার কোনটিই রাখা হয়নি।

উল্টো মূলধনী মুনাফার (ক্যাপিটাল গেইন) ওপর কর বসানো হয়েছে। এছাড়া, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি বা তহবিলের সিকিউরিটিজ বা শেয়ার হস্তান্তরের জন্য ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার অপরিবর্তিত থাকলেও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্র ২.৫০ শতাংশ কমানো হয়েছে।এতে করে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

এদিকে বাজার বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ কমে তিন বছরের বেশি বা ৩৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে। সূচকের সাথে কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর ও টাকার পরিমাণে লেনদেন।

ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৬৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৭১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২২০ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ২২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮৩৬ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯২ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৩ টির, দর কমেছে ৩৪০ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির।

ডিএসইতে ৩৫৭ কোটি ৯০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৮৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৪২ কোটি ৬০ লাখ টাকার ।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮৪০পয়েন্টে।

সিএসইতে ২১৭ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৪ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৫১ টির এবং ৩২ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১০৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.