আজ: রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবার |

kidarkar

ডিএসইর লেনদেন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বিএসইসির কমিটি

শেয়ারবাজার ডেস্ক : ভবিষ্যতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনে কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে এবং লেনদেন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে একটি কমিটি গঠন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সেই সঙ্গে ডিএসইর অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) ও মোবাইল অ্যাপের কার্যক্রম পরিদর্শন করবে এই কমিটি। গতকাল সোমবার (১৫ জুলাই) বিএসইসি থেকে এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।

সূত্র মতে , সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) উপব্যবস্থাপনা শরীফ আলী ইরতেজা ও সেন্ট্রাল কাউন্টার পার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিসিবিএল) আইটি এনাবলড সার্ভিসেস প্রধান মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ডিএসইর ভার্সন কন্ট্রোল পলিসি, এপিআই ইনফ্রাস্ট্রাকচার কন্ট্রোল পলিসি, ওএমএস, মোবাইল অ্যাপ এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় পরিদর্শন করতে বলা হয়েছে। পরিদর্শন শেষে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনের কাছে এ কমিটিতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এবিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ভবিষ্যতে যাতে ডিএসইর লেনদেনে কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি ডিএসইর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা সঠিকভাবে ও নিয়ম অনুসারে পরিচালিত হচ্ছে কিনা সেটি দেখবে।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে কারিগরি ত্রুটির কারণে বিভিন্ন সময়ে লেনদেন কার্যক্রম বিঘ্ন হয়েছে। এর কারণে বিভিন্ন সময়ে লেনদেন বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। সর্বশেষ এ বছরের ১০ মার্চ কারিগরি ত্রুটির কারণে এক্সচেঞ্জটির ওয়েবসাইটে সূচকের অদ্ভুতুড়ে পরিসংখ্যান দেখা গিয়েছিল। দিনভর চেষ্টা করেও সে সময় এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় সে সময় ডিএসইর তথ্যপ্রযুক্তি ও সূচক ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের ওপর পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করতে দুই সদস্যের একটি কমিটি করেছিল বিএসইসি। তাছাড়া বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান প্রথম দফায় দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট ডিএসইর ওয়েবসাইট ও ট্রেডিং সিস্টেমের ত্রুটি অনুসন্ধানের জন্য সংস্থাটির পক্ষ থেকে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। এ কমিটির প্রতিবেদনে ডিএসইর ওয়েবসাইট ও ট্রেডিং সিস্টেমের ত্রুটিবিচ্যুতি বিশদভাবে উঠে আসে।

সেসময় কমিটির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, ডিএসইর ওয়েবসাইটটি বেশ পুরনো। এটি বর্তমান সময়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। একই সঙ্গে এটি দুর্বলও বটে। তাছাড়া পুঁজিবাজারে লেনদেন সম্পন্নের জন্য যে ওএমএস সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় সেটি ত্রুটিপূর্ণ। বাড়তি লেনদেনের চাপ নেয়ার সক্ষমতা নেই সিস্টেমটির। তাছাড়া সিস্টেমটি চালু হয়েছে ছয় বছর হতে চলেছে। এ ধরনের সফটওয়্যারের মেয়াদ সাধারণত ৮-১০ বছর হয়। ফলে দুই-চার বছরের মধ্যে ডিএসইর ওএমএস সিস্টেম হালনাগাদ কিংবা নতুন সফটওয়্যার আনার সুপারিশ করে কমিটি।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.