আজ: বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ইং, ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৯ অগাস্ট ২০২৪, শুক্রবার |

kidarkar

স্বস্তি ফিরছে বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাইজুড়ে টালমাটাল ছিল দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা। সেই অবস্থা গড়ায় আগস্টেও। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণ-অভুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) শপথ নিয়েছে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। নব্য গঠিত সরকারের প্রথম দিন আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট)। এই সরকারের প্রথম দিনেই বাজারে স্বস্তিভাব বিরাজ করছে।

রাজধানীর বিভিন্ন ছোট-বড় মার্কেট যদিও আগেই খুলেছে তবে আজ সকাল থেকে সব ধরনের মার্কেট, দোকান-পাট খোলা রয়েছে।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ ও খিলগাঁও তালতলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অনেকটা স্বস্তিভাব বিরাজ করছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে।

কোটাবিরোধী আন্দোলন ও আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা এরপর সরকারের পতন সবমিলিয়ে স্থবির হয়ে পড়েছিল দেশের অর্থনীতি। বাজারে পণ্য সরবরাহে দেখা দিয়েছিল তীব্র সংকট। বিক্রেতারা বলছেন, সেই সংকট অনেকটা কেটে গেছে।

বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সবজি, ডিম, মুরগি ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে চাল, ডাল, তেলের মতো কয়েকটি পণ্যের দর আগের জায়গায় স্থিতিশীল রয়েছে।

আরও দেখা গেছে, সবজির দাম বাজারেভেদে বেগুন, পটল, পেপে, ঢ্যাঁড়শ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধুন্দল, ঝিঙ্গে ও চিচিঙ্গার দাম ৬০ টাকার মধ্যে আর বরবটি, করলা ৮০ টাকা। এ সপ্তাহের শুরুতেও এসব সবজির দাম ছিল ৮০-১০০ টাকা। অর্থাৎ কয়েক দিনের ব্যবধানে কিছু সবজির দাম অর্ধেকে নেমেছে।

আন্দোলনের আগের তুলনায়ও এখন সবজির দাম বেশ কম, বলছেন ক্রেতারা।

কয়েকজন বিক্রেতা বলেন, বেশ কয়েকদিনের টানা আন্দোলনের কারণে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবারের পর থেকে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।

কেউ আবার বলেন, এখন রাস্তায় ও বাজারে চাঁদাবাজি হচ্ছে না। সে জন্য খরচ কমেছে। পাশাপাশি ন্যায্য দরে পণ্য বিক্রি করতে শিক্ষার্থীদের তদারকি চলছে। এসব কারণে পাইকারি পর্যায়ে সবজির দর অনেকটা কমেছে।

তাছাড়া আগের তুলনায় বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, যা দাম কমার একটা কারণ। অন্যদিকে কিছুদিন আগে দেশ অস্থিতিশীল হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় অনেকে বেশি বেশি করে পণ্য কিনেছেন। যে কারণে এখন বাজারে ক্রেতার চাপ কম।

এদিকে, গত সোমবার-মঙ্গলবার ঢাকায় প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ১৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। যা এখন ১৫০ এ নেমেছে। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানে এখনো ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরা বাজারের ডিম বিক্রেতা আবু খালেদ বলেন, যেভাবে তরতর করে ডিমের দাম বেড়েছিল ঠিক সেভাবে কমেছে। বাজার এখন পুরোটাই স্বাভাবিক বলা চলে।

একইভাবে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দামও। প্রতি কেজিতে ২০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০- ১৯০ টাকা দরে।

অন্যদিকে, আন্দোলনের সময় পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছিল, যা কমে এখন আবার আগের দাম ১০০-১১০ টাকায় এসেছে। একইভাবে আলুর দাম আবারও ৬০ টাকা কেজিতে নেমে এসেছে।

ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে চাঁদাবাজি বন্ধ ও ন্যায্য দরে পণ্য বিক্রির অনুরোধ জানিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন বাজারে মাইকিও করেছেন তারা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১ এর ‘ডাবল মিলিয়ন’অফারে ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর কিনে ২০ লাখ টাকা পেলেন এক কলেজ শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি গাংনী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বাথানপাড়ায়। মা-বাবা ও দাদিসহ ৪ সদস্যের পরিবার তার। গাংনী ডিগ্রি কলেজে উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন রাশেদ। কৃষক বাবার সঙ্গে কৃষিকাজেও সময় দেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) কোম্পানিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশে ব্যাপক প্রচার ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় চলছে গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১। এই সিজনে ঘোষিত ‘ডাবল মিলিয়ন’ অফারে এবার ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর কিনে ২০ লাখ টাকা পেলেন মেহেরপুরের কলেজ শিক্ষার্থী মো. রাশেদ আলী। এর আগে ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে ২০ লাখ টাকা পেয়েছিলেন দিনাজপুর সদরের মোটর শ্রমিক রানা ইসলাম। LankaBangla securites single page উল্লেখ্য, অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন’ পরিচালনা করছে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইনের আওতায় নানান সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় সিজন-২১ এ ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি সিলিং ফ্যান ক্রয়ে ক্রেতাদের ‘ডাবল মিলিয়ন’ অর্থাৎ ২০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত পুরস্কার। আগামী ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত এসব সুবিধা পাচ্ছেন ক্রেতারা। সোমবার মেহেরপুর জেলার গাংনীবাজারে রাশেদ আলী ও তার পরিবারের সদস্যদের হাতে ২০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস ফিরোজ আলম, চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) গালীব বিন মোহাম্মদ, ডেপুটি সিএমও জোহেব আহমেদ, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. মনিরুল হক এবং ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম সাজু এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মাহাবুবুল বারীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে রাশেদ আলী জানান, ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ বাজারের সেরা; দামে কম, টেকসই, সার্ভিস পাওয়া যায় অনেক দ্রুত, দেখতেও সুন্দর। এসব কারণে গত ২৭ অক্টোবর গাংনীবাজারে ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘সাজু এন্টারপ্রাইজ’ থেকে একটি ফ্রিজ কিনি। কেনার পর ফ্রিজটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরই ওয়ালটন থেকে মোবাইল নাম্বারে ২০ লাখ টাকা পাওয়ার একটি এসএমএস আসে। এসএমএস দেখে শোরুমে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়। এরপরই পরিবারে শুরু হয় খুশির বন্যা। তিনি বলেন, ওয়ালটন থেকে পাওয়া ২০ লাখ টাকায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবো। ক্রেতাদের এই সুবিধা দেয়ায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর টেওয়ার্কের হেড অব সেলস ফিরোজ আলম বলেন, গ্রাহকদের হাতে উচ্চ গুণগতমানের পণ্য তুলে দেয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ক্রেতা সুবিধাও প্রদান করছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন অথবা বিএলডিসি ফ্যান ক্রেতাদের ‘ডাবল মিলিয়ন’ সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। ব্যবসা করাই ওয়ালটনের একমাত্র লক্ষ্য না। দেশের মধ্যে মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থানের ইতিবাচক পরিবর্তনেও সমানভাবে সচেষ্ট ওয়ালটন পরিবার। ওয়ালটনের এসব সুবিধা পাওয়ার মাধ্যমে ইতোমধ্যে অনেক গ্রাহকের জীবন আমূলে পাল্টে গেছে। অনুষ্ঠানে দেশীয় পণ্য কেনা ও ব্যবহারের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, দেশে তৈরি পণ্য কিনলে দেশের টাকা দেশেই থাকে। এতে দেশের উন্নয়ন হয়। আর দেশের উন্নতি হলে, নাগরিকদেরও উন্নতি হয়।