আজ: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৮ অগাস্ট ২০২৪, রবিবার |

kidarkar

আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাব ধাপে ধাপে: উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, আমরা নতুন শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করে আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাব। তবে শিক্ষার্থীদের অস্বস্তিতে ফেলবো না।

শপথ নেওয়ার পর রোববার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে এসে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। গত শুক্রবার (১৭ আগস্ট) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তাকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছিল ২০২১ সালে। এত দিন ধরে মাঠ পর্যায়ে সব জায়গায় এগুলো নিয়ে অনেক গবেষণা-তথ্য তৈরি হয়েছে; সেগুলো আমার কাছে আছে।

শিক্ষাক্রম তো উন্নত করতে হবে, সময় বদলাচ্ছে। কিন্তু যেটা তৈরি করা হয়েছে সেটা বাস্তবায়ন খুবই কঠিন বর্তমান পর্যায়ে।

আমাদের যে শিক্ষক আছে তা দিয়ে। এটা আমাদের দেশের জন্য যে সর্বক্ষেত্রে উপযোগী সেটাও মনে করছি না। কাজেই আমরা এই শিক্ষা কার্যক্রমকে খুব সম্ভবত এটা কার্যকর করা সম্ভব বলে আমি দেখছি না। এটা বাস্তবায়ন খুব ভালোভাবে হচ্ছে না। বিশেষ করে মূল্যায়ন পর্যায়ে। কিন্তু যাই আমরা করি না কেন, সাময়িক সমের জন্য আমরা হয়তো আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করবো। কিন্তু কীভাবে করবো, যারা ইতোমধ্যে ঢুকে গেছে তাদের অস্বস্তিতে ফেলবো না।তিনি বলেন, আমরা আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাব ধাপে ধাপে। তবে যারা নতুন শিক্ষাক্রমে ঢুকে গেছে তাদের অস্বস্তিতে ফেলবো না। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের যাতে অস্বস্তিবোধ না হয়। যাতে ডিসকন্টিনিউয়িটি না হয়। আমরা কাজটা শুরু করবো। হয়তো শেষ করতে পারবো না। যে শিক্ষার্থী এই শিক্ষাক্রমে ঢুকে পড়েছে তার যেন কোনো অস্বস্তি না হয়। কোনো পরিবর্তনের মুখে না পড়ে। আমরা সেই চেষ্টা নিশ্চিত করবো।

নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল হবে কিনা- প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি বলছি না বাতিল হবে। আমরা আগের যে শিক্ষাক্রম সেখানে ফিরে যাবো ধাপে ধাপে। এটা যেহেতু বাস্তবায়ন যোগ্য না। যারা এখন পড়ছে, ভিতরে ঢুকে গেছে, সাত মাস ধরে পড়ছে, তাদের অস্বস্তিতে ফেলবো না। আমি বলছি না এটা বাতিল করে দেব। যারা যে ক্লাসে আছে তাদের কোনো অস্বস্তি হবে না।

তিনি বলেন, বর্তমান শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন যোগ্য না, বিশেষ করে মূল্যায়ন পদ্ধতির দিক থেকে। সেটা কীভাবে সংশোধন করা যাবে। আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে তারপরে ট্রানজিশনটা কীভাবে পার করবো সেটা জটিল বিষয়। কিন্তু তাদের যাতে কোনো অস্বস্তি না হয়। আমরা এমনভাবে ফিরো যাব না যাতে মিল না থাকে। নতুন করে শিক্ষা পদ্ধতি ঢেলে সাজাতে সময় লাগবে। যতদূর পারি আমরা আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাব। এমননভাবে যাব যাতে করে ডিসকনিউনিটি না হয় এবং শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় অস্বস্তি না হয়।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.