আজ: শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ইং, ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার |

kidarkar

কর্মজীবনে মানুষের চেয়ে ৪৪ শতাংশ এগিয়ে এআই

নিজস্ব প্রতিবেদক: কর্মজীবন থেকে ব্যক্তিজীবনের বিভিন্ন বিষয়ে এআইয়ের ব্যবহার ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন তথ্যই উঠে এসেছে ক্যাসপারস্কি’র সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি এআই চ্যাটবট ‘চ্যাট-জিপিটি’, যা ২০২২ সালের নভেম্বরে চালুর পর প্রথম মাসেই ১৫৩ মিলিয়ন ভিজিট হয়েছে। ২০২৪ সালের এপ্রিলের মধ্যে ২ বিলিয়ন ইউজার এই প্লাটফর্ম ভিজিট করেছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৪৪ শতাংশ ইউজার মনে করছে মানুষের তুলনায় এআই ব্যবহারে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে এবং ৫৬ শতাংশ বিশ্বাস করে যে, এআই ভার্চুয়াল অভিজ্ঞতা ও মেটাভার্স শিক্ষা ক্ষেত্রেও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।

গবেষণায় অংশ নেয়া ৫৩ শতাংশ ইউজার মনে করে এআই জীবনের একটি অনিবার্য অংশ এবং ৫১ শতাংশ ইউজারের মতে এআই ব্যাপক সুযোগ নিয়ে আসবে ও ভবিষ্যতে আরো উন্নত হবে। ৫৬ শতাংশ ইউজার মনে করেন সৃজনশীল ক্ষেত্রে এআই নির্ভরযোগ্য আর্ট বা শিল্প তৈরিতে সক্ষম। এছাড়া, ৭০ শতাংশ ইউজার এআইকে একটি প্রয়োজনীয় মাধ্যম হিসাবে দেখছে ও দৈনন্দিন কাজে এআই ব্যবহারে আগ্রহী।

সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে, ৬২ শতাংশ ইউজার চ্যাটবট বা ভার্চুয়াল সহকারীদের মতো এআইয়ের সাথে কথোপকথনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে এবং ৩৭ শতাংশ ইউজার জীবনসঙ্গী খুঁজতে এআই ব্যবহার করে। তবে ৫৬ শতাংশ ইউজার মনে করে, এআই মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কে পরিবর্তন আনতে পারে। অর্থাৎ, বাস্তব সম্পর্কগুলোর সাথে ভার্চুয়াল সম্পর্কের প্রতিস্থাপন করতে পারে।

ফিশিং, ডিপফেক ও পরিচয় চুরির মতো এআই-চালিত হুমকি মোকাবেলায়, ক্যাসপারস্কি একটি নির্ভরযোগ্য সাইবার সিক্যুরিটি সল্যুশন ইনস্টল করার এবং ডেটা বা অর্থ শেয়ার করার আগে বিকল্প পদ্ধতির মাধ্যমে যাচাই ও ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে, প্রাইভেসি চেকার ব্যবহারের পরামর্শ দেয়।

ক্যাসপারস্কি’র রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট গ্রুপ ম্যানেজার ভ্লাদিস্লাভ তুশকানভ বলেন, “আমরা একটি প্রয়োজনীয় টুল হিসেবে এআই-এর ক্রমবর্ধমান গ্রহণযোগ্যতা লক্ষ্য করছি, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষকে সহায়তা করছে। ডেটা প্রক্রিয়াকরণ ও বিশ্লেষণের মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলোর বাইরেও শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র, ইত্যাদি বিভিন্ন ব্যক্তিগত কাজে এআই ব্যবহৃত হচ্ছে। এআই প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার সাথে সাথে নতুন ধারণা ছড়িয়ে দেওয়া এবং আমাদের জীবনকে উন্নত করতে তাদের ক্ষমতা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। তবে এই অগ্রগতি অতিরিক্ত নির্ভরতা থেকে শুরু করে এআই পরামর্শে খুব বেশি বিশ্বাস রাখা, এআই-জেনারেটেড ফিশিং, ডিপফেক ও পরিচয় চুরি ইত্যাদি অপ্রত্যাশিত ঝুঁকি ও হুমকিও নিয়ে আসে। তাই এই চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের সচেতনতার সাথে মোকাবেলা করতে হবে।”

ক্যাসপারস্কির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ‘এক্সাইটমেন্ট, সুপারস্টিশন অ্যান্ড গ্রেট ইনসিকিউরিটি- বিশ্বব্যাপী ভোক্তারা কিভাবে ডিজিটাল বিশ্বের সাথে জড়িত’ পড়তে ভিজিট করুন এই লিংকে

গবেষণা সম্পর্কে
২০২৪ সালের জুনে, ক্যাসপারস্কি’র আর্লিংটন রিসার্চ বর্তমান ডিজিটাল কুসংস্কার, আমাদের জীবনে এআই’এর ভূমিকা এবং ডিজিটাল ইমমর্টালিটির ধারণা সম্পর্কে তাদের মতামত জানতে ১০,০০০ লোকের সাথে একটি অনলাইন জরিপ চালায়। যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সের ১ হাজার এবং স্পেন, ইতালি, পর্তুগাল, ব্রাজিল, মেক্সিকো, রাশিয়া, কাজাখস্তান, ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দক্ষিণ আফ্রিকার ৫০০ জন করে এই রিসার্চে অংশ নেয়।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.