আজ: শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার |

kidarkar

অস্থির শেয়ারবাজার, আজও বড় দরপতন

নিজস্ব প্রতিবেদক : পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না দেশের শেয়ারবাজার। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবারও (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে কমেছে সূচক। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচক কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার নেতিবাচক অবস্থায় থাকায় ছোট বড় বিনিয়োগকারীরা সাইডলাইনে রয়েছেন। যার কারণে সূচক পতনের পাশাপাশি লেনদেনও কমে গেছে বড় আকারে।

তবে আজ-কালের মধ্যে অস্থির পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে  শেয়ারবাজার ফের ইতিবাচক ধারায় টার্ন নেবে বলে আশা করছেন তাঁরা।

বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আজ শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের শেষদিকে বিক্রির চাপ বাড়ায় এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা। ফলে দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে।

এতে একদিকে দাম কমার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে সবকটি মূল্যসূচক কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২৬৪টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৫২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হওয়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৭ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৭৩৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৯ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১১৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২২৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৯৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭২৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৩৩ কোটি ৩ লাখ টাকা।

এদিন লেনদেনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অগ্নি সিস্টেমের ২১ কোটি ৬০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২১ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইবনে সিনা।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- গ্রামীণফোন, আইএফআইসি ব্যাংক, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, মিডল্যান্ড ব্যাংক, বঙ্গজ লিমিটেড এবং শাহাজিবাজার পাওয়ার।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৬৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৫টির এবং ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিন বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.