আজ: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুকহামলায় নিহত ৪, কিশোর গ্রেফতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে আবারও স্কুলে বন্দুকহামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) জর্জিয়ার উইন্ডার শহরে অ্যাপালাচি হাইস্কুলে এই ঘটনা ঘটে। এতে দুই শিক্ষক এবং দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও নয়জন, যাদের মধ্যে আটজন শিক্ষার্থী ও একজন শিক্ষক রয়েছেন।

এই ঘটনায় সন্দেহভাজন ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তার উদ্দেশ্য কী ছিল, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

জর্জিয়া ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (জিবিআই) জানিয়েছে, স্কুলে বন্দুকহামলার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাদের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

ব্যারো কাউন্টি শেরিফের অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় আনুমানিক সকাল ১০টা ২৩ মিনিটে একটি স্কুলে গোলাগুলির খবর পেয়ে একাধিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, অ্যাপালাচি হাইস্কুলের ভেতরে যে গুলি চালিয়েছে, সে ১৪ বছর বয়সী কিশোর বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী কি না, তা এখনো জানা যায়নি।

সিএনএন নিশ্চিত করেছে, এই ঘটনায় অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও প্রায় এক ডজন মানুষ। তবে আহতদের সবার শরীরে গুলির ক্ষত ছিল না। ঘটনাস্থল থেকে লুকাতে বা পালাতে গিয়েও আহত হন বেশ কয়েকজন।

স্কুলটি জর্জিয়ার রাজধানী আটলান্টা থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

জিবিআই সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোস্টে বলেছে, ঘটনাস্থলে আমাদের এজেন্টরা রয়েছেন। তারা স্থানীয়, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের তদন্তে সহায়তা করছেন। সন্দেহভাজন একজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

জিবিআই আরও বলেছে, ঘটনাস্থলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এসেছে। তারা এলাকাটি সুরক্ষিত করতে কাজ করছেন। দয়া করে এই সময়ে কেউ স্কুলে আসবেন না।

হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এই গোলাগুলির ঘটনার বিষয়ে জানানো হয়েছে। আরও তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার প্রশাসন কেন্দ্রীয়, রাজ্য এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় অব্যাহত রাখবে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.