আজ: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার |

kidarkar

শেয়ারবাজারে শুরুতে সূচকের বড় উত্থান, দিন শেষে পতন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফের টানা দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববারও (৮ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে কমেছে মূল্য সূচক। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতেও মূল্য সূচক কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা পাঁচ কার্যদিবস পতনের মধ্যে থাকলো শেয়ারবাজার।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার প্রবণতা প্রথম এক ঘণ্টা অব্যাহত থাকে। কিন্তু প্রথম ঘণ্টার লেনদেন পার হতেই বাজারের চিত্র বদলে যেতে থাকে। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে বাড়তে থাকে পতনের মাত্রা। ফলে সূচকের বড় পতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আজ বাজার স্থিতিশীল হওয়ার সন্ধিক্ষণে কিছু বড় বিনিয়োগকারী ও কিছু প্রতিষ্ঠান আগের মতো বড় বড় সেল প্রেসারে লিপ্ত হয়। তাদের অস্বাভাবিক সেল প্রেসারে নাজুক বাজার বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। যে কারণে উত্থানের বাজারে পতন অনিবার্য হয়ে দেখা যায়। এদিন টার্নওভারের শীর্ষে থাকা কোম্পানির শেয়ারও ষড়যন্ত্রকারীদের অস্বাভাবিক সেল প্রেসারে ক্রেতাশুন্য হয়ে যায়। বাজার সংশ্লিষ্টরা এসব ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ৬৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২৮৯টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৪৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হওয়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৭৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১০০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২২১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকটি মূল্য সূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৭৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৭৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে লিন্ডে বাংলাদেশের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩২ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংক ২৮ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে, ইবনে সিনা, একমি ল্যাবরেটরিজ, অগ্নি সিস্টেম, গ্রামীণফোন, মিডল্যান্ড ব্যাংক, কনফিডেন্স সিমেন্ট এবং সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৪১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৩৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬১টির এবং ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.