রেকর্ড ১০৩ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ রেখে গেছে আওয়ামী লীগ সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ বিদেশি ঋণে রেকর্ড ভেঙেছে। গত ডিসেম্বরে ১০০ বিলয়ন ডলা ছুঁয়েছিল বিদেশি ঋণ। মাঝে কিছুটা কমলেও ফের তা বেড়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১০৩ বিলিয়ন ডলার। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে রেকর্ড বিদেশি ঋণে পড়েছে দেশ। চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৩ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৩৭৮ কোটি মার্কিন ডলার। যা গত মার্চ প্রান্তিক শেষে এর পরিমাণ ছিল ৯৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা গণমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বেড়েছে। আমরা মূলত স্বল্পমেয়াদি বেসরকারি ঋণগুলো তদারকি করি। বেসরকারি ঋণগুলো ব্যাংকগুলোই পরিশোধ করে। সাধারণত মাসে ১ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়। এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তেমন দুশ্চিন্তা থাকে না।
সরকারের পাশাপাশি অন্য সরকারি সংস্থাগুলোর ঋণের পরিমাণও বেড়েছে। গত তিন মাসে (জুন শেষে) সরকারের সরাসরি নেওয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭১ বিলিয়ন বা ৭ হাজার ১০০ কোটি ডলার। গত মার্চে এর পরিমাণ ছিল ৬৭ দশমিক ৮১ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৭৮১ কোটি ডলার। জুন শেষে সরকারি অন্য সংস্থাগুলোর বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন বা ১ হাজার ২১৬ কোটি ডলার। যা মার্চ প্রান্তিক শেষে ছিল ১১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন বা ১ হাজার ১১৮ কোটি ডলার।
তথ্য বলছে, জুন শেষে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ১৪০ কোটি ডলারে। যা গত মার্চ শেষে ছিল ১১ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ১০৪ কোটি ডলার।
এসব ঋণের মধ্যে বাণিজ্যিক ঋণের পরিমাণ ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার বা ৭৬২ কোটি ডলার। মার্চ শেষে এর পরিমাণ ছিল ৭৪৬ কোটি ডলার। বাণিজ্যিক ঋণের বেশিরভাগ বায়ার্স ক্রেডিট, যার পরিমাণ প্রায় ৫৭৬ কোটি ডলার বা ৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার।