আজ: শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

শুল্ক সুবিধা পেয়েও রপ্তানি বাড়েনি চীনে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি বাংলাদেশ ও অন্যান্য স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেওয়ার কথা জানিয়েছে চীন। যদিও ২০২০ সালের জুলাই থেকে ট্যারিফ লাইনের আওতায় ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা কার্যকর করে চীন সরকার। এরপরও দেশটিতে আশানুরূপ বাড়েনি বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি। এ অবস্থায় চীনে রপ্তানি বাড়াতে রপ্তানিপণ্যের বহুমুখীকরণ প্রয়োজন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

চীন বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক পরাশক্তি ও শীর্ষ রপ্তানিকারক। দেশটি বাংলাদেশের বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। বাংলাদেশ থেকে চীনে রপ্তানি হওয়া পণ্যের মধ্যে প্রায় ৯৮ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। এরপরও রয়েছে দুই দেশের মধ্যে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি।

চীন সরকার ২০২০ সালের জুলাই থেকে ট্যারিফ লাইনের আওতায় ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা কার্যকর করে। পরবর্তীতে ২০২২ সালে আরও ১ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৯৮ শতাংশ করা হয়। ট্যারিফ লাইনে ৮ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি পণ্য দেশটিতে শুল্ক সুবিধা পাচ্ছে। তারপরও গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৬৭ কোটি ডলারের।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চীনের বাজারে বিক্রি করার মতো বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের অভাব রয়েছে। এছাড়া রয়েছে মার্কেটিং বা বিপণনব্যবস্থার দুর্বলতা। ইউরোপে যুদ্ধ ও আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের বিষয় বিবেচনায় চীন অভ্যন্তরীণ বাজারে মনোনিবেশ করেছে। তৈরি পোশাক উৎপাদনে তারা নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছে। বাংলাদেশের শীর্ষ রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক দিয়ে চীনা বাজার ধরা কঠিন। দেশটিতে রপ্তানি বাড়াতে প্রয়োজন রপ্তানি বহুমুখীকরণ।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনরে সহ-সভাপতি এ কে আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘এত সুবিধা পেয়েও চীনে কেন রপ্তানি বাড়ছে না সেটার কারণ অনুসন্ধান করা দরকার। হয়তো আমাদের অ্যাপ্রোচ ঠিক নেই। অর্থ্যাৎ আমাদের ব্যবসায়ীরা চীনের ব্যবসায়ীরদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। চীনের বাজারে ঠিকমতো বিপণন করতে পারছি না। ভাষা ও বিপণন দক্ষতায় সমস্যা আছে।’

রপ্তানির পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে চীন প্রচুর আমদানিও করে জানিয়ে এ কে আজাদ বলেন, ‘তারা নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে ও পণ্য বানাতে সমগ্র পৃথিবী থেকে পণ্য নেয়। আমরা পণ্যের গুণ-মান বাজায় রাখতে পারছি না, আবার তাদের বাজারেও পৌঁছাতে পারছি না।’

বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা বলেন, ‘চীনের যেসব পণ্য প্রয়োজন সেগুলো আমরা তৈরি করতে পারছি না। চীনে বাংলাদেশি কৃষিজাত পণ্য ও হিমায়িত মাছের চাহিদা আছে। আমরা তাদের মান মেনে চলতে পারলে এসব পণ্যের রপ্তানি বাড়বে।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষিজাত পণ্য ছাড়াও পরিশোধিত তামা, পলিমার, প্রসাধনী, ইলেকট্রনিক সার্কিট, অপরিশোধিত তেল, ফোন সিস্টেম ডিভাইস, পেট্রোলিয়াম গ্যাস, তামার তার ও ডেটা প্রসেসিং মেশিনের চাহিদা রয়েছে চীনে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.