আজ: শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার |

kidarkar

ডিএসইর সিআরও খায়রুল বাশারকে শোকজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : মশিউর সিকিউরিটিজ কর্তৃক বিনিয়োগকারীদের ১৬১ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (সিআরও) খায়রুল বাশারকে শোকজ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আগামী সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) খায়রুল বাশারকে বিএসইসিতে গিয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, খায়রুল বাশারের ব্যর্থতায় বিনিয়োগকারীদের ১৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে মশিউর সিকিউরিটিজ। এর মধ্যে গ্রাহকের সমন্বিত হিসাবে ঘাটতি (সিসিএ) ৬৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এছাড়া শেয়ার বিক্রি করে নিয়েছে ৯২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে একক কোনো ব্রোকারেজ হাউজের এটিই সবচেয়ে বড় জালিয়াতি। মশিউর সিকিউরিটিজের মতো পিএফআই সিকিউরিটিজ ও সিনহা সিকিউরিটিজে একই ধরনের জালিয়াতি হয়েছে। ওইসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বিএসইসি। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা যা হারানোর, তা হারিয়ে ফেলেছেন আগেই।

শোকজের চিঠিতে বিএসইসি বলেছে, গত ১৪ মে মশিউর সিকিউরিটিজ পরিদর্শনের জন্য ডিএসইকে নির্দেশ দেয় বিএসইসি। যা শেষ করে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু এ কাজের জন্য দায়িত্বরত খায়রুল বাশার যথাসময়ে পরিদর্শন ও প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হন। এক্ষেত্রে খায়রুল বাশার কমিশনের নির্দেশনা এবং ডিএসই রেগুলেশনস, ২০১৩ এর রেগুলেশনস ১৬(১০)(বি) ও ১৬(৩)(এ) পরিপালনে ব্যর্থ হয়েছেন।

এ পরিস্থিতিতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর ধারা ৭ ধারা প্রয়োগের আগে খায়রুল বাশারের কাছে মশিউর সিকিউরিটিজে ব্যর্থতার বিষয়ে ব্যাখ্যা শুনতে চায় কমিশন। তাই তাকে ব্যাখ্যা করার জন্য একটি সুযোগ দিয়ে সোমবার ডাকা হয়েছে। ওইদিন বেলা ১১টায় আগারগাঁওয়ে বিএসইসি কার্যালয়ে তাকে ডাকা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যর্থতার জন্য খায়রুল বাশারের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া উচিত হবে না, এর কারণ জানিয়ে শোকজে লিখিত ব্যাখ্যাও চেয়েছে কমিশন।

এরই মধ্যে মশিউর সিকিউরিটিজের ব্যাপারে বেশকিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে বর্তমান কমিশন। এর মধ্যে আছে মশিউর সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন, ‘ফ্রি লিমিট’সহ দেওয়া সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করা, পরিচালকদের ব্যাংক ও বিও হিসাব স্থগিত এবং জড়িত ও তাদের পরিবারের সদস্যদের দেশ থেকে পালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের উদ্যোগ। এছাড়া তদন্তের পর আইন অনুসারে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.