আজ: রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার |

kidarkar

হোন্ডা উন্মোচন করল অ্যাসিস্ট ও স্লিপার ক্লাচ এবং PGM-FI প্রযুক্তিসমৃদ্ধ হোন্ডা Hornet 2.0 (হর্নেট টু পয়েন্ট ও)

নিজস্ব প্রতিবেদক:  উদ্ভাবনী ও উন্নত প্রযুক্তির সাথে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড প্রথমবারের মতো জাপানী ম্যানুফ্যাকচার ও বিচিত্র্য বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন PGM-FI ইঞ্জিনসমৃদ্ধ অত্যাধুনিক সেগমেন্টের নতুন Hornet 2.0 (হর্নেট টু পয়েন্ট ও)মোটরসাইকেল বাজারে এনেছে। হোন্ডা’র মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড, উদ্ভাবন, নির্ভরযোগ্যতা ও পারফর্ম্যান্সের জন্য বিখ্যাত। সাধারণ রাইডার থেকে শুরু করে বাইকপ্রেমীরা এর দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সের জন্য ব্র্যান্ডটি পছন্দ করে। হোন্ডা মোটরসাইকেল টেকসই, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং বৈচিত্র্যের প্রতীক। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মোটরসাইকেল নির্মাতা হিসেবে হোন্ডা বিভিন্ন আইকনিক মডেল তৈরি করেছে, যার মধ্যে হোন্ডা হর্নেট অন্যতম।

১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরু করা হর্নেট রাতারাতি একটি বৈচিত্র্যময়, দ্রুতগামী ও উচ্চ-কার্যক্ষমতাসম্পন্ন স্ট্রিটফাইটার বাইক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে, যা দৈনন্দিন ব্যবহারেও স্পোর্টস বাইকের অনুভূতি দেয়। হোন্ডার এই উদ্ভাবনকে অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড স্টাইলিশ, প্রিমিয়াম ফিচারস ও হাই-পারফর্ম্যান্স সম্পন্ন নতুন হর্নেট টু পয়েন্ট ও বাজারে এনেছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও শিগেরু মাৎসুজাকি বলেন, “বাংলাদেশের বাজারে ১৮৪.৪ সিসি’র হর্নেট ‘টু পয়েন্ট ও’ দেশের মোটরসাইকেল জগতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং এতে আমরা ভীষণ আনন্দিত। এই মোটরসাইকেলে শক্তিশালী ইঞ্জিনের পাশাপাশি রাইডিং অভিজ্ঞতা আরো উপভোগ্য করতে ডিজাইন করা হয়েছে। রাইডাররা উন্নত ফিচারস ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই মোটরসাইকেল থেকে হাই-পারফর্ম্যান্স ও অনন্য অভিজ্ঞতা পাবেন। বাংলাদেশে হর্নেট টু পয়েন্ট ও -এর এই উদ্বোধন আমাদের বিশ্বমানের উদ্ভাবন প্রদানে এবং বাংলাদেশে রাইডিং অভিজ্ঞতা উন্নীত করার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”

Hornet 2.0 -এর বৈশিষ্ট্যসমূহ উপস্থাপনকালে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড-এর চিফ মার্কেটিং অফিসার শাহ মুহাম্মদ আশেকুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশে হোন্ডা ‘হর্নেট টু পয়েন্ট ও’ আনতে পেরে, আমরা গর্বিত। এতে আছে উন্নত মোটোজিপি-প্রাপ্ত প্রযুক্তি, যেমন; সাপোর্ট ও স্লিপার ক্লাচ, গোল্ডেন ইউএসডি ফ্রন্ট ফর্ক, শক্তিশালী ১৮৪.৪ সিসি PGM-FI HET (এইচইটি) ইঞ্জিন এবং এবিএস সহ ডুয়াল পেটাল ডিস্ক ব্রেক ইত্যাদি। এখানে এনার্জি ও স্পোর্টিনেসের এক দুর্দান্ত সংমিশ্রণ পাওয়া যাবে। ১৯৯৬ সাল থেকে হরনেটের যাত্রা শুরু, যা বিশ্বমানের উদ্ভাবন ও নতুন ধারার ফ্যাশনেবল মোটরসাইকেল সরবরাহের আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রমাণস্বরূপ।”

তিনি আরও বলেন, “হর্নেট টু পয়েন্ট ও’ বাংলাদেশের রাইডিং অভিজ্ঞতাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করবে ও রোমাঞ্চকর রাইডিংয়ের এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে, যা সর্বস্তরের রাইডারদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকবে। অত্যাধুনিক ফিচারস ও প্রযুক্তির হর্নেট টু পয়েন্ট ও -এ হাই পারফর্ম্যান্স, আরাম এবং নির্ভরযোগ্যতা এক অনন্য মিশ্রণ থাকবে, যা গ্রাহকদের জীবনযাত্রাকে উন্নত করবে। আমি গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বলবো, ‘Own the Beast’ কারণ এমন রাইডিং অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে আগে কখনও পাননি।”
স্টাইল – ফিচারস – পারফর্ম্যান্সঃ
ডায়নামিক গ্রাফিক্স ডিজাইন নতুন হর্নেট টু পয়েন্ট ও মোটরসাইকেলে এনে দিয়েছে প্রিমিয়াম স্টাইলিশ লুক। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক হেড ও টেইল ল্যাম্প ডিজাইন। উন্নত গ্রিপ ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির পেছনে ১৪০ মি.মি. ও সামনে ১১০ মি.মি. আছে প্রশস্ত চাকা। এছাড়া, স্ট্যাবি মাফলার কভার এতে বাড়তি প্রিমিয়াম লুক যোগ করেছে। গ্রাহকের চাহিদা পূরণে এই মোটরসাইকেলে রয়েছে সর্বাধুনিক সকল প্রযুক্তি। নতুন ‘হর্নেট টু পয়েন্ট ও’ রয়েছে ১৮৪.৪ সিসি ব্যারেলের হোন্ডা’র উন্নত PGM-FI ইঞ্জিন, যা উন্নত স্মার্ট পাওয়ার (ইএসপি) উৎপাদনে সক্ষম। এতে রয়েছে লিকুইড ডিজিটাল ক্রিস্টাল মিটার, যা চলমান অবস্থায় রাইডারকে ইকো ইন্ডিকেটর, গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর, সার্ভিস ডিউ ইন্ডিকেটর, মাইলেজ ইন্ডিকেটর, ট্রিপ, ক্লক, অন-বোর্ড ডায়াগনস্টিক লাইট ইত্যাদি বিষয়ে অবগত করে।

এতে রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড ইঞ্জিন স্টপ সুইচ। কার্যকরী ও স্থিতিশীল নিশিন ক্লিপার সহ বোস এবিএস ব্রেক সিস্টেম দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, এর মনো শক সাসপেনশন রাইডারকে উচ্চ-গতিতেও সুরক্ষিত ভ্রমণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এছাড়া অটোমেটিক স্ট্যাবিলিটি কন্ট্রোল টেকনোলজি বৃষ্টিতে রাইড করার সময় রাইডিং সুরক্ষা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে। সিট ও ট্যাংকের ইন্টিগ্রেশন রাইডারকে ব্রেক করার সময় ট্যাংকের আঘাত থেকে সুরক্ষিত রাখে। রাইডার ও পিলিয়নের জন্য নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতে রয়েছে আরামদায়ক স্প্লিট সিট। হঠাৎ ব্রেক করার সময় বাড়তি নিরাপত্তার জন্য সামনে পেটাল ডিস্ক ব্রেকস ও পেছনে বশ-এর সিঙ্গেল-চ্যানেল এবিএস আছে। Hornet 2.0 এর ইঞ্জিন ১৬.৬ পিএস – ৮,৫০০ আরপিএম শক্তি এবং ১৫.৪ এনএম – ৬,০০০ আরপিএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। একইসাথে এটি পরিবেশ-বান্ধব, তবে এর ফলে পারফর্ম্যান্সে কোন প্রভাব পড়ে না।

‘হর্নেট টু পয়েন্ট ও’ মাত্র ২ লাখ ৮৯ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া ম্যাট সাংরিয়া রেড মেটালিক, ম্যাট মার্ভেল ব্লু মেটালিক, ম্যাট অ্যাক্সিস গ্রে মেটালিক এবং পার্ল ইগনিয়াস ব্ল্যাক এই ৪টি আকর্ষণীয় রঙে দেশব্যাপি সব হোন্ডা এক্সক্লুসিভ অনুমোদিত ডিলার শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.