গাজায় ১৭ হাজার শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দেশে ফিরেই বিমানবন্দরে আটক সুলতান মনসুর ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় ১২ মাস ধরে চালানো এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েলি এই হামলায় নিহতদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই প্রায় ১৭ হাজার। এমন তথ্যই জানিয়েছে গাজার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় প্রায় ১৭ হাজার ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে বলে রোববার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের প্রধান ইসমাইল আল-থাওয়াবতা আনাদোলুকে বলেছেন, “ইসরায়েলের আগ্রাসনের কারণে আরও প্রায় ২৫ হাজার ৯৭৩ ফিলিস্তিনি শিশু এখন গাজায় তাদের পিতামাতার একজন বা উভয়কে ছাড়াই বাস করছে।”
তিনি বলেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে হওয়া নিরলস ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৬ হাজার ৮৫৯ শিশু নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৭১ জন নবজাতক শিশুও রয়েছে।
জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ বারবার সতর্ক করে বলেছে, নিরলস ইসরায়েলি হামলার অধীনে থাকা গাজার শিশুরা অকল্পনীয় ভয়াবহতা সহ্য করেছে। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলের নিরলস এই হামলায় প্রায় ৪১ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু এবং আরও ৯৬ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।