ডিমের ডজন ১৮০, স্বস্তি নেই সবজিতেও
নিজস্ব প্রতিবেদক: বড় বাজারে এক ডজন ডিমের দাম ১৭০ টাকায় উঠেছে, যা গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা বেশি। আর পাড়া-মহল্লায় ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিসপ্তাহেই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে ডিমের দাম। যা নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের নাগালের বাহিরে।
এদিকে গত সপ্তাহের চেয়ে আরও বেড়েছে সবজির দাম। চড়া দামে আটকে আছে ব্রয়লার মুরগি। আর পেঁয়াজের দাম সামান্য কমতে দেখা গেছে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এই চিত্রই দেখা গেছে।
খোদ বিক্রেতারা বলছেন, ডিমের দাম একদম অস্থিতিশীল। দুই-তিন সপ্তাহ ধরেই ডিম কিনতে কষ্ট হচ্ছে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের। এখন ডিমের দাম শুনে অনেক ক্রেতা ফিরে যাচ্ছেন। বাজারে খুচরায় প্রতিটি ডিম ১৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এদিকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর গত ১৫ সেপ্টেম্বর এক আদেশে উৎপাদক পর্যায়ে প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা দাম নির্ধারণ করে দেয়। সে হিসেবে ডিমের হালি খুচরা পর্যায়ে ৪৭ টাকা ৪৮ পয়সায় বিক্রি হওয়ার কথা। অথচ এখন প্রতি হালি কিনতে হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। সে হিসেবে হালিতে ১১ থেকে ১২ টাকার বেশি গুনতে হচ্ছে গ্রাহককে।
অন্যদিকে বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে এক সপ্তাহ আগে। ব্রয়লার মুরগি এখনও ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির দামও ১০ টাকা বেড়ে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা হয়েছে।
এছাড়া বাজারে বেশ কয়েক মাস ধরে চড়া রয়েছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে শর্ত শিথিল ও শুল্ক কমানোর পর দেশের পেঁয়াজের দাম অল্প কিছুটা কমেছে। আগে যেটি ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো, সে পেঁয়াজ এখন ১১০ থেকে ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের সপ্তাহের তুলনায় বেশ কিছু সবজির দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা করে বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, টানা কয়েকদিন বৃষ্টির কারণে সবজির সরবরাহ কমেছে। অনেক সবজি ক্ষেতে নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া এখন গ্রীষ্মের মৌসুমের সবজিগুলো সরবরাহ শেষ দিকে, আর শীত মৌসুমের আগাম সবজির সরবরাহ কম। দুই মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে এখন দাম বাড়ছে।
রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা আজাহার আলী বলেন, গ্রীষ্মের মৌসুম শেষে, শীতের মৌসুম শুরুর আগের এই সময়টি প্রতিবছর সবজির দাম একটু বেশিই থাকে। এছাড়া বৈরী আবহাওয়ার কারণে সবজির সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকার মোকামগুলোতে এখন সবজির দাম বেশি।
এগুলো আসলে সরকারের পক্ষ থেকে সঠিক মনিটরিং এর গাফিলতি ছাড়া কিছুই নয়। কারন বেশিরভাগ ব্যবশায়ী অতি লোভী। তাদের অযুহাতে র শেষ নেই। কমে কিনতে পারলেও অযুহাত দেখিয়ে বেশি বেঁচে, যা সাধারণ জনগণের সমস্যার কারণে পরিনত হচ্ছে। ভোক্তা পর্যায়ে দেখে কখনই এটা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়,বড় বড় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট সরকার দ্বারা ভেঙ্গে মন্ত্রী পর্যায়ে কঠোর ব্যবস্থা ও তার মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন ই সম্ভব এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার
সরকার পতন হলো জনমনে নতুন করে আশার সঞ্চার হলো এবার বুঝি পরিবর্তন আসবে। নতুন উপদেষ্টা আসলো,চাঁদা বাজি বন্ধ হয়েছে। তার পরেও কিছুতেই সরকার দ্রব্যমূল্য কমাতে পারছে না। আগের চেয়ে সব কিছুর দাম আরো বেড়েই চলেছে। জনগণ কি করবে। নিম্ন মধ্যবিত্ত ও গরীব মানুষ কিভাবে বাঁচবে। সরকারকে অনুরোধ করছি একদিম রুট লেভেল থেকে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত সবকিছু কঠোর ভাবে মনিটরিং করার জন্য।