পতনেই থাকল শেয়ারবাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক : দরপতনের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার। গত সপ্তাহে মূল্যসূচক কমেছে প্রায় ৫০ পয়েন্ট। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেন কমেছে প্রায় ১৪ শতাংশ। তবে বেড়েছে বাজার মূলধন। টানা পতনের পর গত সপ্তাহের শেষ কার্সদিবসে কিছুটা ইতিবাচক ধারায় ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে শেষ হয় লেনদেন।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা ৪দিন বন্ধ থাকার পর আজ লেনদেনে ফিরে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ। ফলে বিনিয়োগকারীরা আশা করছিল চলতি সপ্তাহে বাজার ঘুরে দাড়াবে । আশা অনুযায়ী লেনদেন শুরু হয় ইতিবাচক ধারায়। কারণ শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি এবং উন্নয়নে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সঙ্গে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বৈঠকের খবর কিছুটা আশা জাগিয়েছে ।
দেখা গেছে, সকাল ১০টায় শুরু হওয়া লেনদেন ১০টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত উত্থানে ছিল। এসময় পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হয়। তবে এরপর থেকেই বাজার নিচের দিকে নামতে শুরু করে। লেনদেনের বাকি সময় আর উত্থানে ফিরেতে পারেনি। তার একটি বড় কারণ ইসলামী ব্যাংকের ২০ কর্মকর্তাকে দুদকে তলবের খবর।
আজ ডিএসইতে সূচকের যে পরিমাণ পতন হয়েছে তার প্রায় অর্ধেকই হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। কারণ তালিকাভুক্ত ইসলামী ব্যাংকের ২০ কর্মকর্তাকে দুদকে তলবের খবরটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে নিচের দিকে নামতে শুরু করে বাজার।
আজ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে সাড়ে ৪৮ পয়েন্ট। এরমধ্যে ইসলামী ব্যাংকের পতনের কারণে সূচক কমেছে ২১.৮৬ পয়েন্ট। যা পতন হওয়া মোট সূচকের ৪৫ শতাংশ।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমেই আজ শেয়ারবাজারের অর্ধেক পতন। আজ যদি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর না কমতো তাহলে বাজারে এতো বড় পতন দেখা যেত না।
বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৮.৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে। অন্যান্য সূচকের মধ্যে ডিএসইএস’ ১৪.২৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৯১ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ১৫.৪৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে ৩৫০ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন হয়েছিল ৩৭৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার। আজ লেনদেন কমেছে ২৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকার বা ৭ শতাংশ।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১১৯টির বা ৩০.০৫ শতাংশ, কমেছে ২২৫টির বা ৫৬.৮২ শতাংশ এবং দর পরিবর্তন হয়নি ৫২টির বা ১৩.১৩ শতাংশের।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে আজ ৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৯২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৮৪ টির, কমেছে ৮৫টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২৩টির।
এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪০ পয়েন্ট কমে দাঁডিয়েছে ১৫ হাজার ৯৪ পয়েন্টে।