তিন সপ্তাহে লেবাননে বাস্তুচ্যুত প্রায় ৪ লাখ শিশু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তিন সপ্তাহ ধরে লেবাননে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই সময়ের মধ্যে প্রায় চার লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে একটি প্রজন্ম ঝড়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। কারণ এরই মধ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
গত তিন সপ্তাহে লেবাননে ইসরায়েলি হামলার কারণে ১২ লাখ মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই বৈরুত এবং লেবাননের উত্তরের বিভিন্ন শহর ছেড়ে পালিয়েছে।
ইউনিসেফের মানবিক কার্যক্রমের উপ-নির্বাহী পরিচালক টেড চাইবান বেশ কিছু স্কুল পরিদর্শন করেছেন যেগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সেখানে বাস্তুহারা লোকজন আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি বলেন, এই যুদ্ধের বয়স মাত্র তিন সপ্তাহ এবং অনেক শিশু এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যেই ১২ লাখ শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্কুলগুলো যুদ্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অথবা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে শিশুরা এখন স্কুলেও যেতে পারছে না।
লেবাননে গত ২৪ ঘণ্টায় ২০০ বার বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েল তাদের হামলা আরও জোরদার করেছে। লেবাননের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক হামলার খবর সামনে আসছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে হামলার নামে লেবাননজুড়ে বিশাল বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এই হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১ হাজার ৪৮৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও ৪ হাজার ২৯৭ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।
এখন পর্যন্ত লেবাননে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল পূর্ব বেকা উপত্যকা, বৈরুতের শহরতলী এবং দক্ষিণাঞ্চল। এদিকে ইসরায়েলের হামলার জবাবে হিজবুল্লাহও পাল্টা হামলা করেছে। তবে এসব হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
লেবাননে বিমান হামলার পাশাপাশি স্থলপথে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তার মধ্যেই দক্ষিণ লেবাননের ২৫টি শহর খালি করার নির্দেশ দিয়েছে দখলদার দেশটি। এসব শহরের বাসিন্দাদের অবিলম্বে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে উত্তর দিকে চলে যেতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।