আজ: শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ইং, ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৭ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

লাগাতার দর পতন, শেষ কোথায় কেউ জানে না

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি অক্টোবর মাসের ১১ কর্মদিবসের মধ্যে ৯ কর্মদিবসই শেয়ারবাজারে পতন হয়েছে। মাত্র দুই কর্মদিবসে উত্থান হয়েছে। এই ৯ কর্মদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ৩৬৭ পয়েন্ট। গড়ে প্রতিদিন কমেছে ৪০ পয়েন্টের বেশি। আলোচ্য ১১ কর্মদিবসে ডিএসইর মূলধন কমেছে ১৪ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা।

এর মধ্যে পূজায় ছুটিতে চারদিন বন্ধ ছিলো শেয়ারবাজার। ফলে চারদিন তুলনামূলক ভালো কেটেছে বিনিয়োগকারীদের। কারণ, বন্ধ থাকায় শেয়ারবাজারে কোনো কেনাবেচা হয়নি। ফলে দর পতনের ভয় ছিল না। সোমবার লেনদেনে ফিরতেই সেই দর পতনের বৃত্তে ফিরে যায় শেয়ারবাজার। এ অবস্থা চলতি মাসের ৯ কার্যদিবস পার করলো। কবে এ থেকে মুক্তি মিলবে, তার কোনো ধারণাও কেউ দিতে পারছে না।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ০১ অক্টোবর ডিএসইর উদ্বোধনী সূচক ছিল ৫ হাজার ৬২৪ পয়েন্ট। যা ওইদিন ৩৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৮৬ পয়েন্টে। পরেরদিন ০২ অক্টোবর ডিএসইর সূচক কমেছে ১৩৩ পয়েন্ট। এভাবে দুই কর্মদিবস বাদে প্রতিদিনই সূচকের পতন দিয়ে বিনিয়োগকারীদের চোখের পানি ঝরিয়েছে।

এতে দেখা যায়, ০১ অক্টোবর ডিএসইর উদ্বোধনী বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮৩ হাজার ৬১১ কোটি টাকা। যা আজ বৃহস্পতিবার কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৯ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা। এ সময়ে বাজার মূলধন কমেছে ১৪ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, শেয়ারবাজারে এখন কোনো আশার খবর নেই। প্রতিদিনই কেবল হতাশার গল্প। বাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে নীতি নির্ধারকদের নেই কোন কার্যকর পদক্ষেপ। যে কারণে শেয়ারবাজারে পতনের শেষ কোথায় কেউ জানে না।

বাজার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৫৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২৫৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৭৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৩০ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৫ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৫৩ টির, দর কমেছে ২৯৩ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯ টির।

ডিএসইতে ৩০৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৯৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকার ।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮২১ পয়েন্টে।

সিএসইতে ২১৮ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪১ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৫৬ টির এবং ২১ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৪ কোটি ৬৪লা

৪ উত্তর “লাগাতার দর পতন, শেষ কোথায় কেউ জানে না”

  • খোরশেদ says:

    আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয় খুব বেশি জানা লোক ও ভাল লোক সেটা নিশ্চিত করেছেন অর্থ উপদেষ্টা মহোদয়, তাই বাজার সুপারসনিক গতিতে পড়লে ও ওনার কোন জবাব দিহীতা করতে হবে না।আর চেয়ারম্যান মহোদয় ভবিষ্যৎ কয়েক বছরের মধ্যে পুঁজিবাজার ভাল করবেন ও ওনি কাজ করতেছেন।।এখন আমার কথা হচ্ছে ,ওনি অর্থ উপদেষ্টা মহোদয় এর কাছে পুঁজিবাজার বন্ধ করার পরামর্শ দিতে পারেন যাতে ঝামেলামুক্ত কাজ করা যায় আগামী বছর গুলোর জন্য।।এখন আমাদের রক্ত ক্ষরণ করে এ বাজার চালু রাখার কোন মানে নেই।।

  • Anonymous says:

    একদিকে বলছেন আমাদের পিল্প বানিজ্য হবে পঁুজি বাজার কেন্দ্রিক, কোম্পানীর মূলধন আসবে পঁুজি বাজার থেকে আর আরেকদিকে বিনিয়োগ কারীদের নি:শেষ করে দেয়া হচ্ছে।মানুষের আস্থা যদি না থাকে বা মানুষ বাজার ছেড়ে চলে যায় তবে কোম্পানিগুলো কার কাছ থেকে টাকা নিবে? তার উপর অনেক কোম্পানির রাইট শেয়ার বা বন্ড ইস্যু র জন্য আবেদন জানালে তা বাতিল করে দিচ্ছেন।এভাবে চললে সব বোকারেজ হাউস বন্ধ হয়ে যাবে, অনেকে চাকুরী হারা হবে।বেকারত্ব বাড়বে।সংস্কার সবাই চায় কিন্তু দড়িতে জোরে টান দিলে দড়ি ছিড়ে যাবে এবং যাচ্ছে।আস্তে আস্তে করতে হবে।

  • Anonymous says:

    চেয়ারম্যান মহোদয় এমন জানা লোক বাজার-টার বারোটা বাজায় দিবে।

  • Anonymous says:

    JE JAI LANKAI SHEI HOY RABON.
    ALL ARE RUBISH . JUST LIKE SHIBLY.
    EVERYTHING HAS AN END. THIS SHOULD BE NOTED BY ALL THE PRESENT POWER PERSONS….RECALL THE SITUATION OF THE RECENT PAST POWER PERSONS.

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.