আজ: রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪ইং, ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৭ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

প্রয়োজন হলে লেবানন থেকে বাংলাদেশিদের তুরস্কে নেওয়া হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: লেবাননে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশে ফিরতে নিবন্ধন করেছেন এক হাজার ৮০০ বাংলাদেশি। তাদের দেশে ফেরাতে আকাশপথের পাশাপাশি প্রয়োজনে সমুদ্রপথে তুরস্কে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

আগামী ২০ ও ২২ অক্টোবর দুই দফায় অর্ধশত করে বাংলাদেশি দেশে ফিরতে শুরু করবেন বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে যারা ফেরত আসতে চান আমরা তাদের ফেরত আনছি। এক হাজার ৮০০ জনের মতো ফেরত আসতে নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে ১৬০ জনের মতো সঠিক নিয়মে নিবন্ধিত। যারা আসতে চাইছেন তাদের মধ্যে ৯০ ভাগ অনিয়মিত। ৫০ জন করে প্রতিদিন আসতে থাকুক। ২০ ও ২২ অক্টোবর ৫০, ৫২ বা ৫৪ করে আসবেন। এরা সবাই ডকুমেন্টেড।

অনিয়মিতদের ফেরানোর প্রক্রিয়া জটিল জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অনিয়মিতদের সংখ্যাটা কম না। ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ হবে। কেউ সঠিক সংখ্যা জানেন না। কারণ, সবাই ডকুমেন্টেড হয়ে যান না। এদের মধ্যে অনেকে আসতে চান না, কারণ বিপুল অর্থ খরচ করে গেছেন। দেশে ফেরার জন্য যারা নিবন্ধন করেছেন তাদের মধ্যে যারা অনিবন্ধিত আছেন তাদের জন্য সমস্যাটা বেশি। লেবানন থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে।

তিনি বলেন, ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার জন্য জরিমানার ব্যবস্থা আছে। জরিমানার পরিমাণটা বেশ। আমরা সেটা মাফ করার ব্যবস্থা করছি। কারণ তাদের হাতে টাকা-পয়সা নেই। আমরা টাকা সরবরাহ করছি। এরই মধ্যে এটা অ্যাপ্রুভ হয়ে গেছে। অনিবন্ধিতদের ক্লিয়ারেন্সের বিষয়ে আইওএমের সহায়তা চেয়েছি।

বৈরুত বিমানবন্দর থেকে চালু থাকা এয়ারলাইন্স ভাড়া বাড়িয়েছে জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, কিছু কিছু এয়ারলাইন্স ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের কিছু করার নেই। ভাড়া বাড়লেও আনতে হবে। সবাইকে এয়ারে আনা যাবে এমন নিশ্চয়তাও নেই। আমরা দৈনিক ৫০ জনের বেশি সিট পাচ্ছি মিডেলইস্ট এয়ারওয়ে, যেটা বৈরুত থেকে উঠবে।

বাংলাদেশিদের আকাশপথ ছাড়াও বিকল্প পথ হিসেবে সমুদ্রপথে তুরস্কে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা চিন্তা-ভাবনা রাখছি যদি প্রয়োজনে হয় সমুদ্রপথে মেডসিনে নিয়ে যাবো তুর্কিতে। সেখান থেকে বিমানের চার্টার্ড বা নিয়মিত ফ্লাইটে তাদের নিয়ে আসবো। তবে সেটা অনেক বেশি ব্যয়বহুল। তবুও মানুষের জীবনের প্রশ্নে তা করতে আমরা প্রস্তুতি রাখছি।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.