পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স ও ডিবিএর বৈঠক আগামীকাল
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মানের সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সঙ্গে বৈঠক করবে ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’
সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে উভয় পক্ষের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। টাস্কফোর্স গঠনের পর পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে এটা হবে তাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক।
রোববার (২০ অক্টোবর) ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, একটি ইন্ট্রোডাকশন মিটিং করার জন্য ডিবিএকে ডাকেছে পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স। এ বৈঠকের জন্য কোনো এজেন্ড ঠিক করা হয়নি। বৈঠকে পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পুঁজিবাজার সংস্কারের জন্য ডিএসইর প্রথম টাস্কফোর্স গঠন করা সুপারিশ দেয়। সেই আলোকেই পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স আমাদের সঙ্গে বৈঠক করবে।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বরাবর ডিবিএ’র প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিকাশে টাস্কফোর্স গঠনসহ বেশকিছু বিষয়ে সুপারিশ করে ডিবিএ।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ অক্টোবর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ স্বাক্ষরিত আদেশে ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ গঠন করা হয়। পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি’র সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান, হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং এর সিনিয়র পার্টনার এ এফ এম নেসার উদ্দীন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা আকবর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন।
গঠিত এ টাস্কফোর্স পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মতামত বিবেচনা করে যথাসময়ে প্রতিবেদন (বিদ্যমান কাঠামো পর্যালোচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় সংশোধনী প্রস্তাব, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের নিমিত্তে সুপারিশ প্রদানসহ অন্যান্য বিষয়) বিএসইসির কাছে হস্তান্তর করবে। বিশেষ করে, পুঁজিবাজারে সুশাসন ও আস্থা ফেরাতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রধান প্রধান দিকগুলো বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় সংস্কার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রণয়ন করবে টাস্কফোর্স।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান, যেমন- ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল, সিসিবিএলসহ বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং অন্যান্য পক্ষসমূহ টাস্কফোর্সের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহসহ সব ধরনের সহযোগিতা করবে। পরবর্তীতে কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এ টাস্কফোর্সকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
টাস্কফোর্সের অধীনে বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক ফোকাস গ্রুপ থাকবে। প্রতিটি ফোকাস গ্রুপ নির্দিষ্ট বিষয়ে কাজ করবে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে টাস্কফোর্সকে সুপারিশ করবে। উল্লেখ্য, কমিশনকে অবহিত করে টাস্কফোর্স উপযুক্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ফোকাস গ্রুপ গঠন করবে।