আবারও রাস্তায় নেমেছেন বিনিয়োগকারীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে পতন থামছেই না। দিন যত যাচ্ছে বাজারের অবস্থা ততই খারাপ হচ্ছে। যার জের ধরে প্রায় রাস্তায় নেমে আসছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। আজও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বাড়লেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে। এদিন ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা কমেছে। একইসঙ্গে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে। ধারাবাহিক দরপতনের প্রতিবাদ এবং বিনিয়োগকারীদের পুঁজি রক্ষায় সোমবার সকালে মতিঝিলে মানববন্ধন করেছেন বিনিয়োগকারীরা।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১২.৩৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৭৩ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়া সূচক ১.৪১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৫৬ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৭.৫৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১৫০টি কোম্পানির, কমেছে ১৮৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৩টির। ডিএসইতে এদিন মোট ৩৪৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৬২ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ১৮.৭৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৮৩১ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৬.৬৪ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৫১৩ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ৩.৫৩ পয়েন্ট কমে ৯৪০ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৭০.৬২ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৯৯৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে ১৭৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৫৩টি কোম্পানির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭টির।
দিনশেষে সিএসইতে ৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।