আজ: বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪ইং, ৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২২ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার |

kidarkar

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ১৩ লাখ গ্রাহক, আমানত ৩২ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: আস্থার ভিত্তিতে একটি ব্যাংক টাকা দেয় এবং টাকা নেয়। গত ২৫ বছরে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ১৩ লক্ষ গ্রাহক হয়েছে। পাশাপাশি ৩২ হাজার কোটি টাকার আমানত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।

আগামী ২৪ অক্টোবর মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকি। এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ব্যাংকটির এমডি ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।

সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, বিভিন্নভাবে আমরা চেষ্টা করেছি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সেবার মান উন্নত রাখতে। এছাড়া আমাদের প্রায় ২ হাজার ৭০০ সহকর্মী রয়েছেন, তারা সবসময়ে আমাদের সেবাটা সঠিকভাবে দিতে চেষ্টা করেন।

তিনি বলেন, আমাদের ব্যাংক সু-শাসন বজায় রাখা হয়েছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বোর্ড কখনো কোনো লোন, প্রমোশন নিয়ে হস্তক্ষেপ করেনি। ওনারা শুধু কমপ্লায়েন্স ইস্যুগুলো দেখতে চায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের কোনো ইস্যু আছে কিনা এবং আমরা কোথাও ব্যর্থ হচ্ছি কিনা এসব বিষয়ে তারা আপডেট থাকতে চান। প্রতি প্রান্তিকে আমরা ব্যাংকের সম্পূর্ণ ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করি।

ব্যাংকটির এমডি বলেন, গত ৫ বছরে আমরা যে পরিমাণ ঋণ দিয়েছে তার ১ শতাংশ নন-পারফর্মিং (এনপিএল) হয়েছে। সুশাসনের কারণে আমাদের উপর মানুষের আস্তা আছে। গত কয়েক মাসে আমানত অনেক বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, জেলেরা বছরে দুই-তিন মাস বসে থাকে। এসময় তাদের হাতে কোনো কাজ থাকে না। আমরা এসব জেলেদের জন্য এখন কাজ করছি। অনেককে গরু দেওয়া হচ্ছে, আবার অনেককে সেলাই মেশিন দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ এর মাধ্যমে যেনো পুরো বছরে আয়ের স্থিতিশীলতা থাকে। এজন্যই আমাদের ব্যাংকের মাধ্যমে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকদের লোন দিতে সম্প্রতি একটি কোম্পানির সঙ্গে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, কৃষকরা অ্যাপের মাধ্যমে লোন পাবে। এর ফলে এটি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কারণ কৃষকদের কাছে টাকা কম থাকে। অনেক সময়ে এক কাজে ঋণ নিয়ে অন্য কাজে ব্যয় করে ফেলে। অ্যাপের মাধ্যমে দিলে সেটি আর সম্ভব হবে না। অর্থাৎ লোনের টাকা সঠিক খাতে ব্যয় করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিতে ২০২২ সালে ফরেন কারেন্সির চাপ ছিলো। ২০২৩ সালে কয়েকটি ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিলো। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক ৬০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ঐসব ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করেছিলো। এরপর থেকেই কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক যখন জানিয়েছে তারা আর সাপোর্ট দিবেনা, সমস্যাগুলো তখন আরও বেশি প্রকাশ্যে আশা শুরু করে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.