আজ: বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪ইং, ৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

ছয় ব্রোকারেজ হাউজকে ডিএসই’র ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক : এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালু করণের লক্ষ্যে ডিএসই আরো ছয় ব্রোকারেজ হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান করল।

গতকাল ২৩ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে ডিএসই’র ট্রেনিং একাডেমিতে ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম৷ ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেড., ইউনিরয়্যাল সিকিউরিটিজ লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ কোম্পানি লিমিটেড. সিএএল (ক্যাল) সিকিউরিটিজ লিমিটেড, দোহা সিকিউরিটিজ লিমিটেড৷ এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সাত্বিক আহমেদ শাহ, প্রোডাক্ট এন্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক এ ভারপ্রাপ্ত সিওও মোঃ ছামিউল ইসলাম, ডিএসইর প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খায়রুল বাসার, ভারপ্রাপ্ত আইসিটি ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার ও সিটিও (ইনচার্জ) মোঃ তারিকুল ইসলাম।

ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান অনুষ্ঠানে ডিএসই’র চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকটি খারাপ সময়ের পর একটি নতুন যাত্রার সূচনা হয়। আমার মনে হয় সেটি শুরু হয়েছে। বিগতদিনে পুঁজিবাজারকে উপক্ষো করা হয়েছে। পুঁজিবাজারের জন্য প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আজকে ৬টি ব্রোকারেজ হাউজ ফিক্স সার্টিফিকেট গ্রহণ করছে। এটি চালু করা হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরো বলেন, এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে একটি দেশীয় কোম্পানি সাশ্রয়ী খরচে এই সেবা প্রদান করছে। আমাদের অনেক ট্যালেন্ট রয়েছে। কিন্তু উদ্যোগের অভাবে তাদের ঠিকমতো কাজে লাগানো যাচ্ছে না। ছোট ছোট উদ্যোগ আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। যা দেশের পুঁজিবাজারসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নের অবদান রাখতে পারে।

ডিএসইর চেয়ারম্যান আরো বলেন, যদি পর্যায়ক্রমে সব ব্রোকারেজ হাইজ নিজস্ব ওএমএস চালু করে তাহলে গ্রাহক সেবার মান অধিকতর উন্নতি হবে। যা পুঁজিবাজার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা সব সময় মনে করি শেয়ারবাজার যদি তার প্রাথমিক লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে চায়, সেক্ষেত্রে উন্নত ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প কিছু নেই। ফিক্স সার্টিফিকেশনের এই বিষয়টি আমাদের অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং একটি দক্ষ পুঁজিবাজার গড়ে উঠবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের যে সেন্ট্রাল অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) রয়েছে সেখানে নির্দিষ্ট কিছু ফিচার কাঠামো রয়েছে। এটা সকল ব্যবহারকারীর জন্য সমান। ব্রোকার হোস্টেড অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (বিএইচওএমএস) এর মাধমে একজন ব্রোকার তার বিনিয়োগকারীদের নিজের সুবিধামত ভ্যালু এডেড সার্ভিস নিশ্চিত করতে পারে।

তার আগে অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্যে প্রোডাক্ট এন্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক এ ভারপ্রাপ্ত সিওও মোঃ ছামিউল ইসলাম বলেন, ব্রোকার হোস্টেড অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি ট্রেক হোল্ডার কোম্পানি তার গ্রাহকদের সেবা ও বিভিন্ন প্রক্রিয়াগুলো অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার করতে পারে। ট্রেক হোল্ডার কোম্পানিগুলোর জন্য কেন্দ্রীয় ওএমএস ব্যবহার করার পরিবর্তে কাস্টমাইজড ওএমএস ব্যবহার করে প্রতিযোগিতামূলক পরিষেবা প্রদান করার একটি সুযোগ।

ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাওিক আহমেদ শাহ ব্রোকার হোস্টেড অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে যাঁরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, এই উদ্যোগটি কেবল প্রযুক্তিগত উন্নতি নয়; এটি আমাদের পুঁজিবাজারের দক্ষতা ও কার্যকারিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

পুঁজিবাজার দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। স্বচ্ছতা, গতি, এবং নিরাপত্তার জন্য ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রোকার হোস্টেড অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সূচনা ডিএসই’র একটি পদক্ষেপ, যা আমাদের ব্রোকারদের অর্ডারগুলো আরও কার্যকর এবং দক্ষতার সাথে পরিচালনা করার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

ডিএসই’র প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খায়রুল বাসার ট্রেক হোল্ডার কোম্পানিগুলোর আইনগত যে কোন সহযোগিতার জন্য ডিএসই সবদা প্রস্তুত৷ তিনি পরিপূর্ণ আইনের মধ্যে থেকে ব্যবসা পরিচালনার আহবান জানান।

ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, ফিক্স সার্টিফিকেশন একটি চলমান ও দীর্ঘ প্রক্রিয়া৷ তিনি নিজস্ব আইটি অবকাঠামোকে অধিকতর সুরক্ষা করার জোড় দাবী জানান।

এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন ডিএসই’র আইসিটি বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক হাসানুল করিম, ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রাপ্ত সিএএল (ক্যাল) সিকিউরিটিজ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ্যান্ড্রু ডিসান পুষ্পরাজ (Andrew Deshan Pushparajah), দোহা সিকিউরিটিজ লি. এর কন্সালটেন্ট খন্দকার মাজহারুল হক, মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আশিকুর রহমান, প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান, সিএফএ, ইউনিরয়্যাল সিকিউরিটিজ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনির্বান দাশ গুপ্ত, ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ কোম্পানি লি. এর নির্বাহী পরিচালক পিয়ার আহমেদ তুসার এবং কোয়ান্ট ফিনটেক লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাটেক মিনার (Nateq Miner)।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিএসই’র প্রোডাক্ট ও মার্কেট ডেভেলোপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক সাইয়্যিদ মাহমুদ জুবায়ের।

উল্লেখ্য যে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস) ভিওিক BHOMS চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেন ২০২০ সাল থেকে৷ এরই প্রেক্ষিতে ৫৯টি ব্রোকারেজ হাউজ নাসডাক ম্যাচিং ইঞ্জিনে এপিআই সংযোগ নিয়ে নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য ডিএসইতে আবেদন করেন৷ ইতোমধ্যে ১৬টি ব্রোকার হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান করা হয়েছে৷ ১২টি ব্রোকার হাউজ ফিক্স সার্টিফিকেশন পাওয়ার পর তারা এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালু করেছে।

১ টি মতামত “ছয় ব্রোকারেজ হাউজকে ডিএসই’র ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান”

  • আলমগীর হোসেন says:

    [10/17, 15:11] Md.alamgir hossain: আসসালামু আলাইকুম
    শেয়ার বাজার কে আরো আধুনিক করতে হবে।
    অ্যাকাউন্ট ব্যাংকের সাথে যুক্ত করতে হবে।
    যাতে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ সরকারি আধা সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী সহজে লেনদেন করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
    আমরা নিজেরা নগদ বিকাশ রকেট এর মাধ্যম এ টাকা জমা দিব।
    তোলার সময় যাতে সহজে তুলতে পারি ভুতের মাধ্যমে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
    বিএসসির চেয়ারম্যানের বরাবর আবেদন শেয়ার মার্কেট কে আরো দ্রুত ডিজিটাল করেন।
    এতে মানুষের আস্তা এবং বিশ্বস্ততা বাড়বে।
    আল্লাহ হাফেজ।
    [10/19, 10:26] Md.alamgir hossain: আসসালামু আলাইকুম
    শেয়ার বাজার কে যতদিন
    ডিজিটাল না করবেন ততদিন দুর্বল থাকবে
    বোকারেস হাউস এর পাশাপাশি সমগ্র বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে অ্যাকাউন্ট যোগ করে দেন।
    সারাদেশের শিক্ষিত মানুষ ব্যবসায়িক মানুষ
    শেয়ার ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করতে পারবে। গোপনীয়তা আরো মজবুত করতে হবে।
    মানুষের কোটি কোটি টাকার ব্যবসা
    খুব তাড়াতাড়ি ডিজিটাল করা উচিত।
    আমার টাকা আমি যখন খুশি তুলবো এবং যখন খুশি জমা দিব।
    ডিএসসি এবং বিএসসি এর নিকট আকুল আবে বিনো কারীদের দিকে তাকিয়ে না হলেও দেশের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল করেন।
    আল্লাহ তালা আপনাদের সঠিক জ্ঞান দান করেন।
    আমিন
    [10/21, 15:12] Md.alamgir hossain: বিসমিল্লাহিররাহমানিররাহিম,বিএসইসির নিকট আকুল আবেদন
    যে সকল কোম্পানি শেয়ার মার্কেটে আসবে
    তাদেরকে কখনো ক্যাটাগরিতে নিবেন না।
    এ এবং বি ক্যাটাগরিতে রাখবেন তা না হলে বেনুকারীদের অবস্থা খারাপ হবে।
    জেড ক্যাটাগরিতে গেলে কোম্পানির লাভ।

    বিনিয়োগকারীদের লস
    [10/21, 17:03] Md.alamgir hossain: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
    আমার মতাম,
    বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে,
    বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেশেয়ারের পরিমাণ ৩০ কোটি এর বেশি হওয়া উচিত নয়।
    এবং সরকারি কোম্পানি ৫০ কোটি শেয়ারের বেশি হওয়া
    উচিত না।
    তাহলে বাজার ভালো থাকবে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.