আজ: মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪ইং, ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

আগামী মাস থেকে শুরু হবে ব্যাংকগুলোর সম্পদ মূল্যায়নের কাজ: গভর্নর

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী মাস থেকে দেশের ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ সম্পদের মূল্যায়ন শুরু করবে। রিপোর্ট অনুযায়ী এরপরই প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভায় যোগ দিয়ে বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা। এসময় যুক্তরাষ্ট্রসহ দাতা সংস্থাগুলোর কাছে তুলে ধরেন নতুন এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার রোডম্যাপ।

আগামী নভেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দিয়ে সম্পদ মূল্যায়নের কাজ শুরু হবে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। প্রতিনিধিদলের প্রধান হিসেবে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদও এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এছাড়া প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়, ব্যাংক ব্যবস্থাপনাসহ ভগ্ন দশায় থাকা দেশের আর্থিক খাতের শুদ্ধতায় আনা পরিবর্তনগুলো।

গভর্নর ড. আহসান বলেন, আমরা বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকিং খাতের সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেছি এবং ইতোমধ্যেই সম্পদ মূল্যায়নের কাজ শুর করতে রোডম্যাপ তৈরি করা রয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দিয়ে যাচাই-বাছাই করে কোন ব্যাংক কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটি নিরূপণ করা হবে।

অন্যদিকে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি ৬ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করেছে। যা বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি ও প্রধান ঝুঁকিগুলো মূল্যায়নের কাজ করবে। এছাড়া টাস্কফোর্সটি আর্থিক সূচক পর্যালোচনা, ঋণের প্রকৃত অবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর সম্পদ মূল্যায়নে সহায়তা করবে।

গভর্নর আরও জানান, বার্ষিক সভায় সকল পক্ষ বাংলাদেশকে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সহযোগিতা করছে এবং এ বিষয়ে একটি যথাযথ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, এটি বাস্তবায়নের জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিকভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি জানান, আগামী ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোন পদ্ধতিতে কাজ করতে হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হবে।

প্রসঙ্গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার চেয়ে ভালো করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন গভর্নর। শ্রীলঙ্কাও অর্থনৈতিক সংকট এবং জনতার বিদ্রোহের মাধ্যমে সরকারের উৎখাত হওয়ার পর পুনরুদ্ধার হয়েছিল। আমরা শ্রীলঙ্কার মতো হইনি এবং হবও না, বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.