নুয়ে পড়েছে পুঁজিবাজার, বাড়ছে হতাশা
নিজস্ব প্রতিবেদক : ধারাবাহিক দরপতনের মুখে দেশের পুঁজিবাজার। দৈনন্দিন লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামই পড়তির দিকে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এই পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
অন্যদিকে দাম পড়তির মুখেও বাজারে শেয়ার বিক্রির চাপ অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। কেউ আরও দর হারানোর আশঙ্কায় দ্রুত প্যানিক সেল করছেন। কারও কারও শেয়ার আবার মার্জিন ঋণের বাধ্যবাধকতায় ফোর্সড সেলের মুখেও পড়ছে। এর পরও অনেক ক্ষেত্রেই কেনার মতো ক্রেতা মিলছে না। ক্রেতাশূন্য বাজারে এখন বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও হু-হু করে কমছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিনিয়োগকারী। প্রতিনিয়ত কমছে বাজার মূলধন। নিস্তেজ হয়ে পড়ছে ক্রেতাশূন্য পুঁজিবাজার। আস্থা হারাচ্ছে পুঁজিবাজার।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নানা কারণে শেয়ারবাজারে টানা দরপতন চলছে। একদিকে ব্যাংকের সুদের হার বেড়েছে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুবিধা নেওয়া ব্যবসায়ীরা বাজারে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। ফলে বাজারে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারণে শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হচ্ছে।
তবে যে হারে বাজারে দরপতন হচ্ছে, তাতে যে কোনো মুহূর্তে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করছেন তাঁরা।
বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আজ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচক ও শেয়ারদরে বড় পতন হয়েছে। একদিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪৯ পয়েন্ট। এতে প্রধান সূচকটি প্রায় চার বছর বা ৪৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমেছে।
ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৪৮ দশমিক ২০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে। যা বিগত সাড়ে ৪৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। এর আগে ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর ডিএসইর সূচক দাঁড়িয়েছিল ৪ হাজার ৯৩৪ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ৩৬ দশমিক ২৭ পয়েন্ট কমে ১১০৭ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৪৮ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে ১৮৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আজ ডিএসইতে ৩০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো ৩০৬ কোটি ০১ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৯টি কোম্পানির, বিপরীতে ৩৪১ কোম্পানির দর কমেছে। আর ২৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
নীতি নির্ধারনী মহল বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পদত্যাগ করে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া সমীচীন হবে বলে আমি মনে করি।