আজ: শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ইং, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৭ অক্টোবর ২০২৪, রবিবার |

kidarkar

পুঁজিবাজারে তীব্র দরপতন; চার বছর আগের অবস্থানে সূচক

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের রক্তক্ষরণ যেন কোনভাবেই থামছে না। বিএসইসির নতুন কমিশন দায়িত্ব নিয়ে পুঁজিবাজারের জন্য নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করলেও তার দৃশ্যমান কোন সুফল পায়নি বিনিয়াগকারীরা। আজ রবিবারও তীব্র দরপতনেই লেনদেন শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৪৯.২০ পয়েন্ট কমে সূচকটি ৪ হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে; যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থান।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, রবিবার ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪৯.২০ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর আগে ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর এই সূচকের অবস্থান ছিল ৪ হাজার ৯৭৪ পয়েন্টে।

অন্য সূচকগুলোর মধ্যে- ডিএসই–৩০ সূচক ৪৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার  পয়েন্টে ৮৩০ অবস্থান করছে। এছাড়া ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩৬ পয়েন্ট কমেছে।

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৯টির, দর কমেছে ৩৪১টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির।

এদিকে রবিবার ডিএসইতে  টাকার অংকে লেনদেনও কমেছে। এদিন ডিএসইতে ৩০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা কম। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ৩০৬ কোটি ১ লাখ টাকার।

আজ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের বড় পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৯৫ পয়েন্ট।

সিএসইতে ২০৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তার মধ্যে ২৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৭৩টির আর ৮টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

রবিবার সিএসইতে ৪ কোটি ২৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই দেশের শেয়ারবাজারে তীব্র দরপতন চলছে। এক পর্যায়ে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা দরপতনের প্রতিবাদে আন্দোলন করে। পরবর্তীতে বিএসইসির চেয়ারম্যানের সাথে তারা বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসে। কিন্তু বিএসইসির কোন উদ্যোগেই যেন সুফল পাচ্ছে না বিনিয়োগকারীরা।

বিনিয়োগকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন , আমাদেরকে নিঃশেষ করে দেয়া হচ্ছে, মূলধন হারিয়ে আজকে আমরা পথের ভিখারী, অথচ এই সরকার আমাদের দিকে ফিরে তাকাচ্ছে না।

একজন বোকারেজ হাউজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এই বাজারে আর থাকতে পারছি না, চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে যাব।  এত খারাপ অবস্থা হবে বাজারের কখনো কল্পনা করিনি। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আমরা এতটা নাজুক পরিস্থিতির শিকার হইনি। কিন্তু  এ বাজার পরিস্থিতিতে সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেই। আশাহত হয়ে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের সব শেয়ারের দর তলানিতে গিয়ে ঠেকেছ। জানিনা আর পতন আরও কত দূর?

 

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.