আজ: শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ইং, ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার |

kidarkar

মূলধনী আয়ে কর স্থগিত ও সিকিউরিটিজ লেনদেনে কর কমাতে অর্থ উপদেষ্টাকে ডিবিএর চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ পুঁজিবাজার গত কয়েক বছর ধরে কঠিন সময় পার করছে। কোভিড-১৯, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ ও দেশি বিদেশি নানান ঘটনার নেতিবাচক প্রভাব পুঁজিবাজারকে অস্থির করে দিয়েছে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝে শেয়ার দরে দু’দফায় ফ্লোর প্রাইস আরোপসহ বেশকিছু সিদ্ধান্ত বাজারের শৃংখলা ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে নষ্ট করে দিয়েছে এবং বাজারের পতন দীর্ঘায়িত করেছে। এই দীর্ঘ পতনের ফলে দেশি বিদেশি বহু বিনিয়োগকারী আস্থা হারিয়ে বাজার থেকে পুঁজি তুলে নিয়েছে।

আস্থার সংকটের সাথে তারল্য সংকট একাকার হয়ে বাজারের ধারাবাহিক পতন দীর্ঘায়িত হচ্ছে। দীর্ঘ এই পতনের ফলে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী তাদের পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। বাজার সূচক গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে অবস্থান করছে। এই অবস্থায় বিনিয়োগকারীসহ বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।

বিদ্যমান সংকট মোকাবিলায় বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে মূলধনী আয় বা গেইন ট্যাক্সের ওপর আরোপিত কর স্থগিত এবং সিকিউরিটিজ লেনদেনের ওপর বিদ্যমান করের হার কমাতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদকে চিঠি পাঠিয়েছে পুঁজিবাজারের স্টক ব্রোকারদের একমাত্র সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) ডিবিএ প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয় বরাবর পাঠানো হয়। পাশাপাশি চিঠির অনুলিপি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের কাছেও পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে ডিবিএ জানায়, বিদ্যমান আয়কর আইন অনুযায়ী পুঁজিবাজারে মূলধনী আয়ের (৫০ লাখ টাকার অধিক) উপর স্তরভিত্তিক করারোপ করা হয়েছে। কিন্তু বিগত ও বর্তমান বছরে কোন মূলধনী লোকসান ভবিষ্যৎ মূলধনী আয়ের সাথে সমন্বয় করার বিধান রাখা হয়নি। ফলে বড় বিনিয়োগকারী বিনিয়োগের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে বাজার বিমুখ হয়ে পড়েছে।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে পুঁজিবাজারকে বিনিয়োগ সমৃদ্ধ করতে এবং বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে মূলধনী আয়ের উপর বিদ্যমান কর কমপক্ষে ২ বছর স্থগিত করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ডিবিএ।

সিকিউরিটিজ লেনদেনের ওপর কর কমানোর অনুরোধ জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে ব্রোকারেজ হাউজগুলো দুটি স্তরে কর প্রদান করে থাকে। সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয়ের উপর দশমিক ০৫ শতাংশ এবং কর্পোরেট আয়কর হিসেবে যেটি বেশী হয় তা চূড়ান্ত কর হিসেবে গন্য করা হয়। দ্বিস্তরের এ কর ব্যবস্থা মন্দা বাজার পরিস্থিতিতে ব্রোকারদের ক্ষতি করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্রোকারদের আয় না হলেও আয়কর প্রদান করতে হয় এবং মাঝারি বাজারে এই করের হার ৬০ শতাংশ বা তারও বেশি ছাড়িয়ে যায়।

ডিবিএ জানায়, এই করনীতি ব্রোকারদের ব্যবসাকে সংকুচিত করে দিয়েছে এবং আর্থিক সংকটের কারণে অনেক ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে পুঁজিবাজারে ব্রোকারেজ হাউজের ট্রেডিং কার্যক্রম সক্রিয় ও সচল রাখতে রাজস্ব করহার দশমিক ০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ০২ শতাংশ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে স্টক ব্রোকারদের সংগঠনটি।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.