শেয়ারবাজারে সুদিনের বাতাস, প্রায় ১০০ প্রতিষ্ঠানের বিক্রেতা শূন্য
নিজস্ব প্রতিবেদন: অন্তবর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) যাচ্ছেন, এমন খবরে আজ বুধবার (অক্টোবর) দেশের শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হয়েছে।
এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১৪৭ পয়েন্টের বেশি। এটি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শেয়ারবাজারে চতুর্থ বড় উত্থান।
এর আগে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরের দিন ৬ আগস্ট মঙ্গলবার ডিএসইর সূচক বেড়েছিল ১৯২ পয়েন্ট। এরপর ৭ আগস্ট বুধবার বেড়েছে ১৯৭ পয়েন্ট এবং ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার বেড়েছে ৩০৬ পয়েন্ট এবং ১১ আগস্ট রোববার বেড়েছে ৯১ পয়েন্ট। ওই চার দিনে সূচকের উত্থান হয়েছে ৭৮৬ পয়েন্ট।
এরপর ১২ আগস্ট সোমবার থেকেই শুরু হয় ধারাবাহিক পতন। ১২ আগস্ট থেকে ২৮ অক্টোবর (সোমবার) পর্যন্ত আড়াই মাসে সূচকের পতন হয়েছে ১ হাজার ১৪৭ পয়েন্ট। অর্থাৎ শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগের দিন ডিএসইর সূচক ছিল ৫ হাজার ২২৯ পয়েন্ট। গত ২৮ অক্টোবর সেটি আরও ৩৩১ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪৯৮ পয়েন্টে নেমে যায়।
অবশেষ গতকাল বুধবার থেকে বাজার বড় আকারে ঘুরে দাঁড়ায়। গতকাল ডিএসইর সূচকে বেড়েছে ১১৮ পয়েন্টের বেশি এবং আজ বেড়েছে ১৪৭ পয়েন্টের বেশি। আজ ডিএসইর সূচক দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৬৪ পয়েন্টে। শেখ হাসিনা সরকারের সময়ের সূচক থেকে অন্তবর্তী সরকারের সময়ে সূচক এখনো ৬৫ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, অন্তবর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা শেয়ারবাজারের গুরুত্ব অনুধাবন করে নিজেই বিএসইসিতে যাচ্ছেন। যেখানে এর আগে কোনো মন্ত্রী বা উপদেষ্টা যাননি। শেয়ারবাজারের জন্য এটি একটি ভিন্ন ম্যাসেজ। শেয়ারবাজারের প্রতি অর্থ উপদেষ্টার এমন আগ্রহের কারণে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজার নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।
বুধবারের বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আজ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে।
দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে প্রায় ১০০ প্রতিষ্ঠান। এমনকি লেনদেনের বেশিরভাগ সময় এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট বিক্রির আদেশের ঘর শূন্য পড়ে থাকে। দাম বাড়ার ক্ষেত্রে প্রায় ১০০ প্রতিষ্ঠান দাপট দেখানোর পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেড়েছে। ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে ৫০০ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এতে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দাম বাড়ার প্রবণতাও বাড়ে। ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৩৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৪৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫১৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৪৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১৭২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে ২০ কার্যদিবস পর ডিএসইতে ৫০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলো।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ২১ কোটি ৪৬ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ১২ কোটি ৯৪ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১২ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফারইস্ট নিটিং।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস, একমি ল্যাবরেটরিজ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, টেকনো ড্রাগস ও ইসলামী ব্যাংক।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৩৩০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৯টির এবং ১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
[10/27, 19:08] Md.alamgir hossain: আসসালামু আলাইকুম
শেয়ার মার্কেট একটি ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠান।
এখনো বোকারেজ হাউস নির্ভর।
এতে মানুষের আস্থা
কম।
ব্যাংকের সাথে এড করে দেন যাতে করে মানুষ সহজে লেনদেন করতে পারে।
মান্দাতার আমলের সিস্টেমে পড়ে আছেন।
[10/28, 16:38] Md.alamgir hossain: বিএসইসিএর নিকট আকুল আবেদন
যে কোন কোম্পানি শেয়ার মার্কেটে থাকতে হলে সর্বনিম্ন ১% হলেও বোনাস দিতে হবে নতুবা মার্কেট থেকে বাদ দেওয়া উচিত।
জেট ক্যাটাগরি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এতে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয় কোন লাভ নেই।
[10/30, 18:14] Md.alamgir hossain: আসসালামু আলাইকুম,
মাননীয় অর্থ উপদেষ্ট এবং বিএসইসি চেয়ারম্যান মহোদয় এর নিকট আকুল আবেদন,
আমরা যাতে সহজে টাকা তুলতে এবং জমা দিতে পারি এজন্য ব্যাংকের মত বুধ তৈরি করা উচিত। বিকাশ এবং নগদ এর সাহায্যে টাকা তুলা এবং জমা করা যায়। সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রয়োজনে শেয়ার ব্যাংক করেন।অথবা ব্যাংক এর সাথে একাউন্ট যোগ করে দেন।