তৃতীয় প্রান্তিক শেষেএনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ৩৫৫ কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা প্রায় ৩৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৫৫ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ২৬৬ কোটি টাকা। এছাড়া সমন্বিত হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৬ পয়সা, আগের বছর ইপিএস ৮ পয়সা ঋণাত্মক ছিল। একক হিসেবে ইপিএস ৫৬ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ পয়সায়।
বৃহস্পতিবার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অনুমোদিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
ব্যাংকের গুলশান শাখার মিটিংরুমে এই পর্যদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যাংকের পরিচালক একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ অলিউর রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক এয়ার চিফ মার্শাল (অব.) আবু এশরার, বীর মুক্তিযোদ্ধা খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান ও অধ্যাপক ড. রাদ মুজিব লালন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. রবিউল ইসলাম, ডিএমডি কবীর আহমেদ ও মোহা. হুমায়ন কবীর, কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আহসান হাবিব এবং সিএফও মো. জাফর ইকবাল ইকবাল, এফসিএ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ২০২৪ সালের ৩১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকের আমানতের পরিমান দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে বিতরণকৃত ঋণের পরিমান ১৪ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা।
চলতি বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে সুদ আয় হয়েছে ১ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৫২ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে সুদ আয় বেড়েছে ২২ শতাংশের বেশি। আলোচ্য সময়ে এককভাবে মোট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা, গত বছর যা ছিল ১ হাজার ৩২১ কোটি টাকা। এছাড়া সমন্বিত হিসেবে এনএভি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা, গত বছর আলোচ্য সময়ে যা ছিল ১ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। এছাড়া এককভাবে শেয়ারপ্রতি এনএভি ১৫.৯৪ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬.৮৫ টাকা এবং সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি এনএভি ১৬.৪৭ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭.৩৪ টাকা।
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় জানানো হয়, এনআরবিসি ব্যাংক গ্রাহকদের সেবার মান বৃদ্ধিসহ গুণগত মানসম্পন্ন ঋণ বিতরণ বাড়িয়েছে। এজন্য একদিকে আমানত সংগ্রহ যেমন বেড়েছে অন্যদিকে ঋণ বিতরণও বৃদ্ধি পেয়েছে। সুদ থেকে আয়ের পরিমান উল্লেখযোগ্য পরিমানে বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিচালন মুনাফা এবং ইপিএস বেড়েছে। ঋণ বিতরণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঋণ আদায়ে তৎপরতা জোরদার করে বছর শেষে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ভালো অঙ্কের ডিভিডেন্ট প্রদান করা সম্ভব হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।