ব্যাটে-বলে নাসুমের বাজিমাত, দারুণ জয়ে সমতায় ফিরলো বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক: ব্যাট হাতে ২৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের পর বল হাতেও বাজিমাত করেছেন এক বছর পর দলে ফেরা নাসুম আহমেদ। তার দ্যুতি ছড়ানোর ম্যাচে দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
শারজায় শনিবার (০৯ নভেম্বর) দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে ৬৮ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সমতায় ফিরেছে লাল সবুজরা। টাইগারদের দেয়া ২৫৩ রান তাড়া করতে নেমে ৪৩.৩ ওভারে ১৮৪ রানে থেমেছে আফগানরা। ২৮ রান খরচায় বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন নাসুম। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
অবশেষে ভাঙল ডেডলক। টানা ৮ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হারের পর কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। এদিন রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ ছিল না আফগানিস্তানের। দলীয় ১৮ রানে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে হারালেও এরপর ঘুরে দাঁড়ায় তারা। একটা সময় পর্যন্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল তাদেরই হাতে। ২৮.৫ ওভার শেষেও ২ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান ছিল তাদের ঝুলিতে। সেদিকুল্লাহর সঙ্গে ৫২ রানের জুটির পর হাশমতউল্লাহর সঙ্গেও প্রায় ৫০ রানের জুটি গড়ে ফেলছিলেন রহমত শাহ।
কিন্তু ২৯তম ওভারের শেষ বলটিতে মুস্তাফিজকে ফাইন লেগের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে শরিফুল ইসলামের হাতে ধরা পড়েন হাশমতউল্লাহ। ৪০ বলে ১৭ রানে থামে তার ইনিংস। রহমতের সঙ্গে ভাঙে তার ৪৮ রানের জুটি। ওই আউটেই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। পরের ওভারে আক্রমণে এসে দ্বিতীয় বলেই নতুন ব্যাটার আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে (০) বোল্ড করেন নাসুম।
পরপর দুই উইকেট হারিয়ে যখন এমনিতেই চাপে আফগানিস্তান, তখন রহমত-গুলবাদিনের ভুল বোঝাবুঝিতে পতন হয় আরেকটি উইকেটের। হতাশার রান আউটে মাঠ ছাড়েন রহমত। ৭৬ বলে ৫ চারের মারে ৫২ রানে থামে তার ইনিংস। অবশ্য তিনি ১১ ও ৩০ রানের মাথায় দুবার জীবন পেয়েছিলেন।
৬ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারানো আফগানরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। মোহাম্মদ নবি (১৭) ও রশিদ খানের (১৪) বিদায়ের পর জয়ও নিশ্চিত হয়ে যায় টাইগারদের।
এর আগে নাজমুল হোসেন শান্তর ধৈর্যশীল ইনিংসের পর শেষদিকে জাকের আলী অনিক ও নাসুম আহমেদের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান তোলে বাংলাদেশ।
১১৯ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৭৬ রান করেন শান্ত। ২৭ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারের মারে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন জাকের আলী। ২৪ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে ২৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন নাসুম। আফগানিস্তানের পক্ষে ২৮ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন খারোতে। ২টি করে উইকেট নেন এএম গজনফর ও রশিদ খান।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৯২ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সমতায় ফিরলো শান্ত বাহিনী। ফলে শেষ ম্যাচটি পরিণত হয়েছে অলিখিত ফাইনালে। ১১ নভেম্বর সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুদল।