আজ: বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ইং, ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১০ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার |

kidarkar

ব্যাটে-বলে নাসুমের বাজিমাত, দারুণ জয়ে সমতায় ফিরলো বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক: ব্যাট হাতে ২৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের পর বল হাতেও বাজিমাত করেছেন এক বছর পর দলে ফেরা নাসুম আহমেদ। তার দ্যুতি ছড়ানোর ম্যাচে দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

শারজায় শনিবার (০৯ নভেম্বর) দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে ৬৮ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সমতায় ফিরেছে লাল সবুজরা। টাইগারদের দেয়া ২৫৩ রান তাড়া করতে নেমে ৪৩.৩ ওভারে ১৮৪ রানে থেমেছে আফগানরা। ২৮ রান খরচায় বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন নাসুম। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

অবশেষে ভাঙল ডেডলক। টানা ৮ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হারের পর কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। এদিন রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ ছিল না আফগানিস্তানের। দলীয় ১৮ রানে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে হারালেও এরপর ঘুরে দাঁড়ায় তারা। একটা সময় পর্যন্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল তাদেরই হাতে। ২৮.৫ ওভার শেষেও  ২ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান ছিল তাদের ঝুলিতে। সেদিকুল্লাহর সঙ্গে ৫২ রানের জুটির পর হাশমতউল্লাহর সঙ্গেও প্রায় ৫০ রানের জুটি গড়ে ফেলছিলেন রহমত শাহ।

কিন্তু ২৯তম ওভারের শেষ বলটিতে মুস্তাফিজকে ফাইন লেগের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে শরিফুল ইসলামের হাতে ধরা পড়েন হাশমতউল্লাহ। ৪০ বলে ১৭ রানে থামে তার ইনিংস। রহমতের সঙ্গে ভাঙে তার ৪৮ রানের জুটি। ওই আউটেই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। পরের ওভারে আক্রমণে এসে দ্বিতীয় বলেই নতুন ব্যাটার আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে (০) বোল্ড করেন নাসুম।

পরপর দুই উইকেট হারিয়ে যখন এমনিতেই চাপে আফগানিস্তান, তখন রহমত-গুলবাদিনের ভুল বোঝাবুঝিতে পতন হয় আরেকটি উইকেটের। হতাশার রান আউটে মাঠ ছাড়েন রহমত। ৭৬ বলে ৫ চারের মারে ৫২ রানে থামে তার ইনিংস। অবশ্য তিনি ১১ ও ৩০ রানের মাথায় দুবার জীবন পেয়েছিলেন।

৬ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারানো আফগানরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। মোহাম্মদ নবি (১৭) ও রশিদ খানের (১৪) বিদায়ের পর জয়ও নিশ্চিত হয়ে যায় টাইগারদের।

এর আগে নাজমুল হোসেন শান্তর ধৈর্যশীল ইনিংসের পর শেষদিকে জাকের আলী অনিক ও নাসুম আহমেদের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান তোলে বাংলাদেশ।

১১৯ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৭৬ রান করেন শান্ত। ২৭ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারের মারে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন জাকের আলী। ২৪ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে ২৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন নাসুম। আফগানিস্তানের পক্ষে ২৮ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন খারোতে। ২টি করে উইকেট নেন এএম গজনফর ও রশিদ খান।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৯২ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সমতায় ফিরলো শান্ত বাহিনী। ফলে শেষ ম্যাচটি পরিণত হয়েছে অলিখিত ফাইনালে। ১১ নভেম্বর সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুদল।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১ এর ‘ডাবল মিলিয়ন’অফারে ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর কিনে ২০ লাখ টাকা পেলেন এক কলেজ শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি গাংনী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বাথানপাড়ায়। মা-বাবা ও দাদিসহ ৪ সদস্যের পরিবার তার। গাংনী ডিগ্রি কলেজে উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন রাশেদ। কৃষক বাবার সঙ্গে কৃষিকাজেও সময় দেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) কোম্পানিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশে ব্যাপক প্রচার ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় চলছে গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১। এই সিজনে ঘোষিত ‘ডাবল মিলিয়ন’ অফারে এবার ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর কিনে ২০ লাখ টাকা পেলেন মেহেরপুরের কলেজ শিক্ষার্থী মো. রাশেদ আলী। এর আগে ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে ২০ লাখ টাকা পেয়েছিলেন দিনাজপুর সদরের মোটর শ্রমিক রানা ইসলাম। LankaBangla securites single page উল্লেখ্য, অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন’ পরিচালনা করছে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইনের আওতায় নানান সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় সিজন-২১ এ ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি সিলিং ফ্যান ক্রয়ে ক্রেতাদের ‘ডাবল মিলিয়ন’ অর্থাৎ ২০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত পুরস্কার। আগামী ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত এসব সুবিধা পাচ্ছেন ক্রেতারা। সোমবার মেহেরপুর জেলার গাংনীবাজারে রাশেদ আলী ও তার পরিবারের সদস্যদের হাতে ২০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস ফিরোজ আলম, চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) গালীব বিন মোহাম্মদ, ডেপুটি সিএমও জোহেব আহমেদ, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. মনিরুল হক এবং ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম সাজু এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মাহাবুবুল বারীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে রাশেদ আলী জানান, ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ বাজারের সেরা; দামে কম, টেকসই, সার্ভিস পাওয়া যায় অনেক দ্রুত, দেখতেও সুন্দর। এসব কারণে গত ২৭ অক্টোবর গাংনীবাজারে ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘সাজু এন্টারপ্রাইজ’ থেকে একটি ফ্রিজ কিনি। কেনার পর ফ্রিজটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরই ওয়ালটন থেকে মোবাইল নাম্বারে ২০ লাখ টাকা পাওয়ার একটি এসএমএস আসে। এসএমএস দেখে শোরুমে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়। এরপরই পরিবারে শুরু হয় খুশির বন্যা। তিনি বলেন, ওয়ালটন থেকে পাওয়া ২০ লাখ টাকায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবো। ক্রেতাদের এই সুবিধা দেয়ায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর টেওয়ার্কের হেড অব সেলস ফিরোজ আলম বলেন, গ্রাহকদের হাতে উচ্চ গুণগতমানের পণ্য তুলে দেয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ক্রেতা সুবিধাও প্রদান করছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন অথবা বিএলডিসি ফ্যান ক্রেতাদের ‘ডাবল মিলিয়ন’ সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। ব্যবসা করাই ওয়ালটনের একমাত্র লক্ষ্য না। দেশের মধ্যে মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থানের ইতিবাচক পরিবর্তনেও সমানভাবে সচেষ্ট ওয়ালটন পরিবার। ওয়ালটনের এসব সুবিধা পাওয়ার মাধ্যমে ইতোমধ্যে অনেক গ্রাহকের জীবন আমূলে পাল্টে গেছে। অনুষ্ঠানে দেশীয় পণ্য কেনা ও ব্যবহারের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, দেশে তৈরি পণ্য কিনলে দেশের টাকা দেশেই থাকে। এতে দেশের উন্নয়ন হয়। আর দেশের উন্নতি হলে, নাগরিকদেরও উন্নতি হয়।