থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস তথা নগদে ফরেনসিক অডিট করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিতর্কিত আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেডে ( ব্র্যান্ড নাম নগদ) একটি ফরেনসিক অডিট করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার (১০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশের আর্থিকখাতের নিয়ন্ত্রকটির মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইনভেস্টোপিডিয়ার সংজ্ঞানুসারে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক রেকর্ডের নিরীক্ষা বা যাচাইকে বলা হয় ফরেনসিক অডিট।
ফরেনসিক অডিটের সময়, একজন অডিটর এমন প্রমাণ খোঁজেন যা আদালতে ব্যবহার করা যেতে পারে। জালিয়াতি বা অর্থ আত্মসাতের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড উন্মোচন করতে ফরেনসিক অডিট ব্যবহার করা হয়।
ফরেনসিক অডিটে কোম্পানির আইটি সিস্টেম, সফটওয়্যার ইত্যাদি থেকে মুছে ফেলা তথ্যও উদ্ধার করা হয়ে থাকে।
গণঅভ্যুত্থানে বিতারিত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে ২০১৯ সালে অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ডাকবিভাগের নাম ভাঙ্গিয়ে মোবাইল আর্থিক সেবা চালু করে নগদ। বিদ্যমান আইন অনুসারে, কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগী কোম্পানি ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের মোবাইল আর্থিক সেবা দেওয়ার সুযোগ নেই। এই আইন লংঘন করেই মোবাইল আর্থিক সেবা শুরু করে নগদ।
নগদ। আইন লংঘন করা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটিকে একটি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স দেওয়া হয়। নানা কারণে প্রতিষ্ঠানটি ওই লাইসেন্স সমর্পণ করলে পরবর্তীতে তাদেরকে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেডে তথা নগদের মালিকানার সঙ্গে যুক্ত আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীরা। নগদের মালিকানার সঙ্গে বিভিন্ন সময় যুক্ত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনের স্ত্রী রেজওয়ানা নূর, সাবেক সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক ও রাজী মোহাম্মদ ফখরুল।
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর নতুন সরকার গত ২১ আগস্ট থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেডে তথা নগদের সিইও তানভীর মিশুককে সরিয়ে দেয়। কোম্পানিটিতে বসানো হয় প্রশাসক। গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটিতে নতুন ব্যবস্থাপনা পর্ষদ নিয়োগ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।