আজ: শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ইং, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১১ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার |

kidarkar

৯ দিনে ৭৫ হাজার প্যাক মাংস-আলু মিক্স কম্বো বিক্রি

এ আইডিয়া আমার নিজস্ব: স্বপ্ন’র এমডি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাব্বির হাসান নাসিরের আইডিয়ায় গ্রাহকদের কেনার সুবিধার্থে গরুর মাংস ও আলু মিক্স কম্বো বিক্রি শুরু করে ১৬০ টাকায়। এতে বেশ সাড়া ফেলেছে প্রতিষ্ঠানটি । এমন আরও ২০টির বেশি সাশ্রয়ী অফারে মিক্স কম্বো প্যাক বিক্রি হচ্ছে চলতি মাসের শুরু থেকে। যা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত রোববার তেজগাঁওয়ে নিজ অফিসে সাম্প্রতিক ব্যবসায়িক মডেল সম্পর্কে চিন্তাভাবনা শেয়ার করেন স্বপ্নের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাব্বির হাসান নাসির। এ সময় তিনি নানান বিষয় তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভার জোনের ১০০ আউটলেটে এই অফার চলছে এ মাসের শুরু থেকে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়েছে ছোট পরিবারের কেনার সুবিধার্থে গরুর মাংসের সঙ্গে আলুসহ একটি কম্বো প্যাক। গরুর মাংস-আলু মিক্স (স্মল) নামের এ কম্বো প্যাকে থাকছে গরুর মাংস ২০০ গ্রাম ও আলু ১০০ গ্রাম (১০ পিস গরুর মাংসের সঙ্গে ১০ পিস আলু), যার বিক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ১৬০ টাকা।

গত ৯ দিনে ৭৫ হাজার প্যাক মাংস-আলু মিক্স কম্বো বিক্রি হয়েছে। যা নিয়ে অভিভূত বলে জানান স্বপ্নের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া আরও কিছু প্যাক জনপ্রিয় হয়েছে। দুই পিস রুই মাছ ও আলু ৬০ টাকা, ল্যাটকা খিচুড়ির জন্য চাল, দুটি ডিম, ডালের মিক্স ৬৫ টাকা, সবজি মিক্স ৫০ টাকা ও মাত্র ২০ টাকায় চা ও বিস্কুটের কম্বো প্যাক।

মূলত, একটি পরিবারের এক বা দুবেলার মাংস-ভাতের আয়োজন করতে ক্রেতাদের জন্যে সুবিধাজনক এই অফার এনেছে ‘স্বপ্ন’।

স্বপ্ন’র এমডি বলেন, এ আইডিয়া আমার নিজস্ব। এ অফার চালুর পর আউটলেটে কেনাকাটার লাইন পড়ে গেছে। এখন সব শ্রেণির মানুষ আসছে আমাদের সুপারশপে। পোশকশ্রমিকরা আসতে পারছেন, রিকশাওয়ালারা আসতে পারছেন।

কেন এমন প্যাক চালু করা হলো- এ প্রসঙ্গে সাব্বির হাসান নাসির বলেন, করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও টাকার অবমূল্যায়নের পর আমাদের বিক্রির ধরনে একটা বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। আমরা দেখলাম মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ তার পরিবারের জন্য আমিষ জাতীয় খাবার আর ভালোভাবে যোগান দিতে পারছে না। যে কারণে আমার ব্যাপক সংখ্যক মানুষের আমিষ ও পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এটা চালু করি।

ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে থাকায় নতুন এ উদ্যোগ ইতিমধ্যে ভোক্তাদের মধ্যে বেশ সাড়াও ফেলেছে। পোশাকশ্রমিক, রিকশাচালক, দিনমজুরসহ বিভিন্ন পেশার মানুষেরা স্বপ্নের আউটলেট থেকে এসব পণ্য কিনছেন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.