আজ: বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ইং, ২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১২ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার |

kidarkar

উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ: কাজুকো ভূইয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট আয়োজিত কাইজেন কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিবেদক: কর্মক্ষেত্রে ধারাবাহিক উন্নয়ন ও ব্যক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজুকো ভূঁইয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে জাপানি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি কাইজেন ও ৫-এস নিয়ে দিনব্যাপি একটি সেশন আয়োজিত হয়েছে।

টঙ্গীতে অবস্থিত জেটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ লিমিটেডের কারখানায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্র থেকে ২০ জন কর্পোরেট এক্সিকিউটিভ অংশগ্রহণ করেন। এই সেশনে কাইজেন ও ৫-এস পদ্ধতির উপর গুরুত্বারোপ করা হয়, যা কর্ম-ব্যবস্থাপনার মৌলিক দুটি স্তম্ভ। অংশগ্রহণকারীদের দৈনন্দিন কাজে এসব পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য দক্ষতা ও ব্যবহারিক জ্ঞান লাভ করেন, যা একটি গতিশীল ও দক্ষ পরিবেশ গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

জাপানিজ শব্দ কাইজেন-এর অর্থ ‘ক্রমাগত উন্নতি’, যা গুণমান ও কর্মক্ষমতাকে ইঙ্গিত করে। এই ধারণাটি কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি, বর্জ্য হ্রাস এবং গুণগত মানোন্নয়নের জন্য ধাপে ধাপে পরিবর্তনের ওপর জোর দিয়ে বৈশ্বিক শিল্পে বিপ্লব ঘটিয়েছে। এই ধারণা মতে, ম্যানেজমেন্ট থেকে ফ্রন্টলাইন – প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মী প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক অগ্রগতি ও সাফল্যে অবদান রাখে।

৫-এস বলতে পাঁচটি জাপানি নীতিকে বোঝানো হয়েছে; সেইরি (সর্ট বা বাছাই), সেইতন (সেট ইন অর্ডার বা সঠিকভাবে সাজানো), সেইসো (শাইন বা পরিচ্ছন্নতা), সেইকেতসু (স্ট্যান্ডার্ডাইজ বা মান বজায় রাখা) এবং শিতসুকে (সাসটেইন বা অভ্যাস বজায় রাখা)। এই ৫ নীতি কর্মক্ষেত্রে সার্বিক উৎপাদনশীলতা ও নিরাপত্তায় সেরা মান নিশ্চিত করে। কাইজেন ও ৫-এস উভয় ধারনাই গুণগত মানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে এবং সব প্রক্রিয়া, পণ্য ও সেবা ক্রমাগতভাবে গ্রাহকের প্রত্যাশা পূরণের নিশ্চয়তা প্রদান করে।

এই সেশনটি জেটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ লিমিটেডের একটি কাইজেন ও ৫এস-সম্মত কারখানায় আয়োজিত হয় এবং অংশগ্রহণকারীদের হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা প্রদান করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে আলাপ করেও বিভিন্ন ধারণা নেন।

এ প্রসঙ্গে জেট্রোর সিনিয়র ডিরেক্টর শেখ মোঃ শরিফুল আলম বলেন, “কাইজেন ও ৫-এস ব্যবস্থাপনা পুনরায় পর্যালোচনা করার অভিজ্ঞতা অসাধারণ ছিল। এ ধরনের কর্মপদ্ধতি ব্যবসার প্রতিটি ক্ষেত্রে ক্রমাগত উন্নতিতে অপরিহার্য ভূমিকা রাখে। সেশনটি ছিল একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং জেটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর কারখানা পরিদর্শন করে আমি দেখেছি যে, বাংলাদেশেও আমন আদর্শ ব্যবস্থাপনার প্রয়োগ হচ্ছে। কর্মীদের থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতাও ছিল অসাধারণ। সেশনটি উপভোগের পাশাপাশি নতুন অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।”

জাপানি ধারণাটি ব্যবসাকে কেবল মুনাফা অর্জনের জন্য নয়, বরং সামাজিক কল্যাণের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। কাজুকো ভূঁইয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি তারেক রাফি ভূঁইয়া জুন বলেন, “দৈনন্দিন কাজকর্মে কাইজেন ও ৫-এস পদ্ধতি কেবল দক্ষতাই বৃদ্ধি করে না, বরং প্রতিষ্ঠানে সার্বিক কর্ম পরিবেশ উন্নত করে তোলে। এই সেশনে অংশগ্রহণকারীরা পণ্য ও সেবার মানোন্নয়নে দায়িত্ব পালন করতে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে আমি মনে করি, যা এই দ্রুত পরিবর্তনশীল বাজারের প্রতিযোগিতা ধরে থাকতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.