এবার ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ২০ লাখ টাকা পেলেন কলেজ শিক্ষার্থী রাশেদ আলী
নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১ এর ‘ডাবল মিলিয়ন’অফারে ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর কিনে ২০ লাখ টাকা পেলেন এক কলেজ শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি গাংনী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বাথানপাড়ায়। মা-বাবা ও দাদিসহ ৪ সদস্যের পরিবার তার। গাংনী ডিগ্রি কলেজে উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন রাশেদ। কৃষক বাবার সঙ্গে কৃষিকাজেও সময় দেন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) কোম্পানিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশে ব্যাপক প্রচার ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় চলছে গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১। এই সিজনে ঘোষিত ‘ডাবল মিলিয়ন’ অফারে এবার ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর কিনে ২০ লাখ টাকা পেলেন মেহেরপুরের কলেজ শিক্ষার্থী মো. রাশেদ আলী। এর আগে ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে ২০ লাখ টাকা পেয়েছিলেন দিনাজপুর সদরের মোটর শ্রমিক রানা ইসলাম।
উল্লেখ্য, অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন’ পরিচালনা করছে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইনের আওতায় নানান সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় সিজন-২১ এ ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি সিলিং ফ্যান ক্রয়ে ক্রেতাদের ‘ডাবল মিলিয়ন’ অর্থাৎ ২০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত পুরস্কার। আগামী ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত এসব সুবিধা পাচ্ছেন ক্রেতারা।
সোমবার মেহেরপুর জেলার গাংনীবাজারে রাশেদ আলী ও তার পরিবারের সদস্যদের হাতে ২০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস ফিরোজ আলম, চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) গালীব বিন মোহাম্মদ, ডেপুটি সিএমও জোহেব আহমেদ, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. মনিরুল হক এবং ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম সাজু এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মাহাবুবুল বারীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানে রাশেদ আলী জানান, ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ বাজারের সেরা; দামে কম, টেকসই, সার্ভিস পাওয়া যায় অনেক দ্রুত, দেখতেও সুন্দর। এসব কারণে গত ২৭ অক্টোবর গাংনীবাজারে ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘সাজু এন্টারপ্রাইজ’ থেকে একটি ফ্রিজ কিনি। কেনার পর ফ্রিজটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরই ওয়ালটন থেকে মোবাইল নাম্বারে ২০ লাখ টাকা পাওয়ার একটি এসএমএস আসে। এসএমএস দেখে শোরুমে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়। এরপরই পরিবারে শুরু হয় খুশির বন্যা।
তিনি বলেন, ওয়ালটন থেকে পাওয়া ২০ লাখ টাকায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবো। ক্রেতাদের এই সুবিধা দেয়ায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর টেওয়ার্কের হেড অব সেলস ফিরোজ আলম বলেন, গ্রাহকদের হাতে উচ্চ গুণগতমানের পণ্য তুলে দেয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ক্রেতা সুবিধাও প্রদান করছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন অথবা বিএলডিসি ফ্যান ক্রেতাদের ‘ডাবল মিলিয়ন’ সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। ব্যবসা করাই ওয়ালটনের একমাত্র লক্ষ্য না। দেশের মধ্যে মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থানের ইতিবাচক পরিবর্তনেও সমানভাবে সচেষ্ট ওয়ালটন পরিবার। ওয়ালটনের এসব সুবিধা পাওয়ার মাধ্যমে ইতোমধ্যে অনেক গ্রাহকের জীবন আমূলে পাল্টে গেছে।
অনুষ্ঠানে দেশীয় পণ্য কেনা ও ব্যবহারের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, দেশে তৈরি পণ্য কিনলে দেশের টাকা দেশেই থাকে। এতে দেশের উন্নয়ন হয়। আর দেশের উন্নতি হলে, নাগরিকদেরও উন্নতি হয়।