আজ: শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ইং, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৩ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার |

kidarkar

শেয়ার কারসাজিতে সাকিবের আয় ৯০ লাখ, জরিমানা ৫০ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে কারসাজিতে ৯০ লাখ টাকা মুনাফা করে এখন ৫০ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হচ্ছে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আকতারকে।

চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এ জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি কারসাজির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে।

বিএসইসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে সংঘটিত কারসাজিতে যুক্ত ছিলেন সাকিব আল হাসান। যে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব ব্যবহার করে শেয়ারবাজারে কারসাজি করা হয় সেটি প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের। সেটি সাকিব ও তার মায়ের নামে একটি বেসরকারি ব্যাংকের সহযোগী ব্রোকারেজ হাউসে খোলা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ১৭ আগস্ট থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের প্রতিটি শেয়ারের দাম প্রায় ৩৫ টাকা বা ৮৫ শতাংশ বেড়েছে। ওই সময়ে সিরিজ লেনদেন বা নিজেদের মধ্যে হাতবদল করে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ানো হয়। এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন শেয়ারবাজারের বহুল আলোচিত কারসাজিকারক আবুল খায়ের হিরু, সাকিব আল হাসানসহ তাদের নিকটাত্মীয়, স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।

ডিএসইর তদন্ত ও বিএসইসির প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, মাত্র তিন দিনে ৬৫ টাকা ২৪ পয়সা ক্রয়মূল্যে প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের ১০ লাখ ৬০ হাজার শেয়ার কেনা হয় সাকিব আল হাসান ও তার মায়ের বিও হিসাবে। এ জন্য প্রায় ৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়। গত বছরের ১২, ১৪ এ ১৭ সেপ্টেম্বর ভিন্ন ভিন্ন দামে এসব শেয়ার কেনা হয়। এর মধ্যে প্রায় ১০ লাখ ২১ হাজার শেয়ার কেনা হয় ১২ ও ১৪ সেপ্টেম্বর। এই দুই দিনে কেনা সব শেয়ারই পাঁচ দিনের ব্যবধানে বিক্রি করে দেন সাকিব আল হাসান। তাতে প্রতি শেয়ারে প্রায় ৯ টাকা করে মুনাফা হয়। সব মিলিয়ে মুনাফা দাঁড়ায় ৯০ লাখ টাকা।

এতে আরও বলা হয়, প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আকতারসহ সাত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা জরিমানা করে বিএসইসি। জরিমানা করা অন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হলো ইশাল কমিউনিকেশন, আবুল খায়ের হিরু, আবুল খায়ের হিরুর বাবা আবুল কালাম মাতলুব, হিরুর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্ট, লাভা ইলেকট্রোডস ও জাহিদ কামাল। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সব মিলিয়ে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় ইশাল কমিউনিকেশনকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানকে। ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় আবুল খায়ের হিরুকে, যা তৃতীয় সর্বাধিক। এ ছাড়া আবুল কালাম মাতলুবকে ১০ লাখ টাকা, হিরুর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্টকে ১ লাখ টাকা এবং লাভা ইলেকট্রোডস ও জাহিদ কামাল নামের একজনকে ১ লাখ করে টাকা জরিমানা করা হয়।

১ টি মতামত “শেয়ার কারসাজিতে সাকিবের আয় ৯০ লাখ, জরিমানা ৫০ লাখ”

  • Ashif Ibna Ashraf says:

    Stock Derivatives মার্কেট চালু করা হোক। ডেরিভেটিভস মার্কেটে তথা Futures Market এ ট্রেডিং ফি কম হয় বলে সেখানে বড় ট্রেডার্স/liquidity বেশি থাকে। বড় ট্রেডগুলো সেখানে হলে Spot মার্কেটে প্রাইস ফ্লাকচুয়েশনের প্রভাবটা তুলনামূলক কম পড়বে। একই সাথে মার্কেট down এ পড়তে থাকলে বিনিয়োগকারীরা short selling এর মাধ্যমে নিজের পোর্টফোলিও-কে hedge করার সুযোগ পাবে।free flot er 10% jate short sell kora jai emon niyom korle,jara technical analysis a expert tara down market a bebsha korar opportunity pabe,pakistan a free flot er 3% short sell korer niyom ase,news koren.

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.