আজ: শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৭ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার |

kidarkar

শেয়ার কারসাজি: সিটি ব্যাংক ক্যাপিটালকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বীমা খাতের কোম্পানি কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে দেশের অন্যতম শীর্ষ মার্চেন্ট ব্যাংক সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র অনুসারে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পাঠানো প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও শুনানীসহ সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া শেষে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিটি ব্যাংক ক্যাপিটালকে জরিমানার এই সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সিটি ব্যাংকের এই সহযোগী প্রতিষ্ঠানটিকে (Subsidiary Company) এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

ডিএসই ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের লেনদেন পর্যালোচনা ও অনুসন্ধান করে। ডিএসইর প্রতিবেদন অনুসারে, গত ২৮ নভেম্বর ডিএসইতে কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং মূল্য ছিল ৩৩ টাকা ৬০ পয়সা, যা চলতি বছরের ৫ ফেব্রুযারি বেড়ে ৫৮ টাকা ৩০ পয়সা হয়। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ে ২৪ টাকা ৭০ পয়সা বা প্রায় ৭৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।

সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল লিমিটেড সিটি ব্যাংকের অপর সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিটি ব্রোকারেজে রক্ষিত বিও একাউন্টের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক শেয়ার কেনাবেচা করে। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটি কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের ৬২ লাখ ৭৫ হাজার শেয়ার কিনেছে। বিক্রি করেছে ২৬ লাখ ৯৩ হাজার শেয়ার। এর মধ্যে একাধিক সময়ে একই দিনে কর্ণফুলির শেয়ার কেনা-বেচা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ডিএসইর প্রতিবেদনে একাধিক গ্রাফ ও চার্টের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড প্যাটার্ন তুলে ধরা হয়েছে; বলা হয়েছে, এই প্যাটার্ন ইঙ্গিত করছে প্রতিষ্ঠানটি সিরিজ লেনদেনের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে।

ডিএসইর প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টা ১৭ মিনিট ৫২ সেকেন্ড থেকে বেলা ২ টা ১৮ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড পর্যন্ত সময়ে তথা মাত্র ৪১ সেকেন্ড সময়ে কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের মোট ২ লাখ শেয়ার কিনেছে। এই বাজারে বাজারে মোট ২ লাখ ৬ হাজার ২৮৩টি টি কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়, যার ৯৬ দশমিক ৯৫ শতাংশই করেছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল।

একইভাবে, পরদিন তথা ২ ফেব্রুয়ারি সিরিজ লেনদেনের মাধ্যমে শেয়ারের দাম বাড়ায় সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল। এদিন বাজারে কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের লেনদেন শুরু হয় আগের দিনের চেয়ে ২ টাকা বেশি দামে। এদিন সকাল ১০টা ৪ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে ডিএসইতে কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দাম ছিল ৬২ টাকা ৯০ পয়সা, এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে ১০টা ৫ মিনিট ১৯ সেকেন্ডে শেয়ারটির দাম বেড়ে ৬৪ টাকা হয়। এই সময়ের মধ্যে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল ২ লাখ শেয়ার কেনে, যে সময়ে বাজারে কর্ণফুলির মোট শেয়ার বিক্রির সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৭০০। অর্থাৎ, এই সময়ে বাজারে বিক্রিত শেয়ারের ৯৬ দশমিক ২৯ শতাংশ করেছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল।

আলোচিত সময়ে কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন থেকে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটালের রিয়ালাইজড মূলধনী মুনাফার পরিমাণ ছিল ৬৮ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। অন্যদিকে অনরিয়ালাইজড মুনাফার(ওই সময়ে শেয়ার বিক্রি করেনি, করলে যে মুনাফা হতে পারতো) পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।

বিএসইসি মনে করছে, আলোচিত সময়ে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সিরিজ লেনদেনের মাধ্যমে কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে। এ ধরনের লেনদেনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি একাধিক আইন লংঘন করেছে। তাই বাজারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা ও জনস্বার্থে প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

২ উত্তর “শেয়ার কারসাজি: সিটি ব্যাংক ক্যাপিটালকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা”

  • Ashif Ibna Ashraf says:

    Stock Derivatives মার্কেট চালু করা হোক। ডেরিভেটিভস মার্কেটে তথা Futures Market এ ট্রেডিং ফি কম হয় বলে সেখানে বড় ট্রেডার্স/liquidity বেশি থাকে। বড় ট্রেডগুলো সেখানে হলে Spot মার্কেটে প্রাইস ফ্লাকচুয়েশনের প্রভাবটা তুলনামূলক কম পড়বে। একই সাথে মার্কেট down এ পড়তে থাকলে বিনিয়োগকারীরা short selling এর মাধ্যমে নিজের পোর্টফোলিও-কে hedge করার সুযোগ পাবে।free flot er 10% jate short sell kora jai emon niyom korle,jara technical analysis a expert tara down market a bebsha korar opportunity pabe,pakistan a free flot er 3% short sell korer niyom ase,news koren.

  • Md DELOWER Hossain says:

    ইফাদ অটোর বোনাস ০১% ডিক্লেয়ার করেছে ১৭ ই অক্টোবর।
    এবং রেকর্ড ডেট ছিল ১৮ই নভেম্বর।
    কিন্তু আমাদের বিএসসি চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য ও কর্মকর্তারা এখনো বোনাসের সম্মতি দেননি।
    কিন্তু কেন??
    তারা কি এখনও সময় পাননি??
    এক মাস হলেও তারা কেন দেরি করলো??
    এতে ক্ষতি কার বিনিয়োগকারীদের হচ্ছে।

    অনুমতি দেন বা না দেন এক সপ্তার মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত সর্বোচ্চ।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.