আজ: রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪ইং, ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৭ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার |

kidarkar

উত্থানে শুরু পতনে শেষ, আশাহত বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে ভালো উত্থান দেখা গিয়েছিল। ওইদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছিল ৩৯ পয়েন্টের বেশি। কিন্তু সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস আজ রোববার শেয়ারবাজারে পতন হয়েছে। একদিন পরই ডিএসই প্রধান সূচক কমে গেছে ২৭ পয়েন্ট।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহের প্রথক কর্মদিবস রোববার শেয়ারবাজারে বড় পতন হয়। পরেরদিন সোমবার ভালো উত্থান হয়। মঙ্গলবার আবারও বড় পতন হয়। তারপর বুধবার ও বৃহস্পতিবার উভয় বাজার উত্থানের সুবাতাস দেখা যায়। কিন্তু আজ রোববার আবারও পতন ধারায় টার্ন নেয়।

এদিন আগের দিনের উত্থানের ধারাবাহিকতায় উভয় বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু ১৫ মিনিটের মাথায় নেতিবাচক প্রবণতায় উভয় বাজার টার্ন নেয়। এ সময়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ১০ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায়। তারপর সেল প্রেসার বাড়লে আবারও উত্থানের পথে বাজার এগুতে থাকে। দুপুর ১২টার কিছু আগে ডিএসইর সূচক ৩৫ পয়েন্টের বেশি বেড়ে লেনদেন হয়।

তারপর আবারও সংশোধনের ধারায় ফিরে। এভাবে উত্থান-পতনের মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে বাজার। দুপুর সাড়ে ১২টা ৩৬ মিনিটে ডিএসইর সূচক আবারও নেতিবাচক ধারায় ফিরে আসে। এ সময়ে সূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৫ পয়েন্ট কমে যায়। শেষ বেলায় সেল প্রেসারে পতন আরও ঘনীভূত হয়। তখন আগের দিনের চেয়ে সূচক ৩১ পয়েন্ট কমে যায়। যা অ্যাডজাস্টমেন্টের পর পতনের পরিমাণ ২৭ পয়েন্টে স্থির হয়।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, বাজারকে স্থিতিশীল করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে। কিন্তু কোন উদ্যোগেই বাজার স্থিতিশীলতায় ফিরছে না। উত্থান-পতনের জালের অস্থিরতায় বাজার আটকে আছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত সপ্তাহের শেষদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ পাওয়ার জন্য আইসিবি সরকারের সভরেন গ্যারান্টি পেয়েছে। এ সপ্তাহেই সেই টাকা হাতে পেতে পারে আইসিবি। সভরেন গ্যারান্টির টাকা হাতে পেলে বাজারে হয়তো ভালো উত্থান দেখা যেতে পারে বলে তাঁরা মনে করেছেন।

বাজার বিশ্লেষনে দেখা গেছে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ২৬ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩২৮ পয়েন্টে।

এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ৬ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট কমে ১১৮২ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৯ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট কমে ১৯৭৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

আজ ডিএসইতে ৫০৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো ৫৭৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

এদিন ডিএসইতে মোট ৩৮৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫০টি কোম্পানির, বিপরীতে ১৮৫ কোম্পানির দর কমেছে। আর ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

১ টি মতামত “উত্থানে শুরু পতনে শেষ, আশাহত বিনিয়োগকারীরা”

  • Ashif Ibna Ashraf says:

    Stock Derivatives মার্কেট চালু করা হোক। ডেরিভেটিভস মার্কেটে তথা Futures Market এ ট্রেডিং ফি কম হয় বলে সেখানে বড় ট্রেডার্স/liquidity বেশি থাকে। বড় ট্রেডগুলো সেখানে হলে Spot মার্কেটে প্রাইস ফ্লাকচুয়েশনের প্রভাবটা তুলনামূলক কম পড়বে। একই সাথে মার্কেট down এ পড়তে থাকলে বিনিয়োগকারীরা short selling এর মাধ্যমে নিজের পোর্টফোলিও-কে hedge করার সুযোগ পাবে।free flot er 10% jate short sell kora jai emon niyom korle,jara technical analysis a expert tara down market a bebsha korar opportunity pabe,pakistan a free flot er 3% short sell korer niyom ase,news koren.

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.