বেক্সিমকো গ্রুপেকে আর কোনো ঋণ সুবিধা দেবে না জনতা ব্যাংক
নিজস্ব প্রতিবেদক: বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিক-কর্মচারীদের অক্টোবর মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য রাষ্ট্রায়াত্ব জনতা ব্যাংকের কাছে ৬০ কোটি টাকা ঋণসহ ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড সুবিধা চেয়েছিল আলোচিত প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপ।
কিন্তু বেক্সিমকো গ্রুপের সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে জনতা ব্যাংক। জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান বেক্সিমকো গ্রুপকে ঋণ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা অর্থমন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানিয়েছেন
চিঠিতে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান সাবেক সচিব ফজলুর রহমান বলেছেন, নতুনভাবে অর্থায়ন করলে যে ঋণঝুঁকি তৈরি হবে, তা বহন করার পরিস্থিতি বর্তমানে জনতা ব্যাংকের নেই।
এর আগে গত ৪ নভেম্বর বকেয়া বেতনের জন্য শ্রমিক–কর্মীদের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকটির কাছে ঋণের জন্য আবেদন করেছিল বেক্সিমকো।
এর আগে, ঋণ খেলাপি গ্রাহক বেক্সিমকো গ্রুপের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের মতামত নিয়ে জনতা ব্যাংক গ্রুপটির শ্রমিক-কর্মচারীদের আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধের জন্য ৫৫ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে, যা কোনো এলসির বিপরীতে দেওয়া হয়নি।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বেসরকারি শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমান জুলাই বিদ্রোহের সময় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিভিন্ন অভিযোগে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
এদিকে, বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলন করছেন তার মালিকানাধীন গ্রুপটির শ্রমিকেরা।
অর্থ সচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদারকে গত ১৪ নভেম্বর লেখা চিঠিতে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বেক্সিমকো গ্রুপের ২৮টি প্রতিষ্ঠানের কাছে জনতা ব্যাংকের পাওনা ২৩,৪০৭ কোটি টাকা— যার বড় অংশই ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত এবং বাকিটা ওভারডিউ অবস্থায় রয়েছে।
জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান লিখেছেন, ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী কোনো খেলাপি গ্রাহককে ঋণ দেওয়ার সুযোগ নেই।
গত ১২ নভেম্বর পর্যন্ত বেক্সিমকো গ্রুপের রপ্তানি মূল্য হিসেবে ৯০.৬৫ কোটি টাকা প্রত্যাবাসিত হয়েছে— যার বিপরীতে গ্রুপটি প্যাকিং ক্রেডিট ও বিবিএলসি বাবদ ৮১.৫৮ কোটি টাকা অগ্রিম নিয়েছে। বাকিটা সার্ভিস চার্জ ও বেক্সিমকো গ্রুপের অন্যান্য খেলাপি দায়ের সঙ্গে সমন্বয় করবে জনতা ব্যাংক।