আজ: রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২০ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার |

kidarkar

ডিএসইর পরিচালক নাহিদ ওএসডি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেনকে অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে সরিয়ে দিয়েছে সরকার। তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (Officer on Special Duty -OSD) হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যুক্ত করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন নিয়োগ-১ শাখা থেকে ড. নাহিদ হোসেনসহ ৬ জন অতিরিক্ত সচিবকে বদলী/পদায়ন করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

ড. নাহিদ হোসেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পুঁজিবাজার অধিশাখার দায়িত্বে কর্মরত ছিলেন। তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংক বেসিক ব্যাংকের একজন পরিচালক। তিনি ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এ দায়িত্বে আছেন।

বুধবার ড. নাহিদের সঙ্গে ওএসডি হয়েছেন পুঁজিবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও এক অতিরিক্ত সচিব। অমল কৃষ্ণ মন্ডল নামের ওই কর্মকর্তা পুঁজিবাজার অনু শাখার দায়িত্বে ছিলেন।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়। গত ১ সেপ্টেম্বর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ড. নাহিদসহ ৭ জনকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়। এদের মধ্যে নাহিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের ইস্যুতে বিতর্ক দেখা দেয়। এমন অবস্থায় অপর দু’জন ডিএসইতে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে যোগ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কিন্তু প্রবল বিতর্ক সত্ত্বেও ড. নাহিদ ডিএসইতে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে যোগ দেন।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ তাদের পক্ষ থেকে ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে ড. নাহিদ হোসেনকে মনোনয়ন দিয়েছিল। তাই তাকে ওই মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেওয়ায় ডিএসইর দায়িত্ব থেকেও বাদ পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

ড. নাহিদ ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পুঁজিবাজার ডেস্কের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এই সময়ে তাকে কেন্দ্র করে একটি অসাধু চক্র করে উঠে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই চক্রটি নানাভাবে পুঁজিবাজারে অনিয়ম-দুর্নীতি ও কারসাজির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ড. নাহিদ আওয়ামীলীগ সরকারের সুবিধাভুগী সরকারি কর্মকর্তাদের অন্যতম। ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি পুলিশ ক্যাডারে ছিলেন। তিনি ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে তিনি নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি), বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির পরিচালক ও বাংলাদেশ আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়নের সুপারিনটেন্ডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.